Sexual abuse: বেহালার পর উত্তরপাড়া, কম্পিউটার ক্লাস করতে গিয়ে শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার নাবালিকা
Sexual abuse: উত্তরপাড়া ৬৭ শ্রীরাম পল্লীর একটি আবাসনের বাসিন্দা বছর নয়ের নাবালিকা আবাসনের নীচের তলাতেই কম্পিউটার শিখত। কম্পিউটার শেখাত সুরজ শা নামে এক যুবক। ওই শিক্ষকেরই যৌন লালসার শিকার হয়েছে নাবালিকা।
উত্তরপাড়া: কয়েকদিন আগে বেহালায় আঁকতে গিয়ে শিক্ষকের হাতেই নির্যাতিত হয়েছিল ৮ বছরের নাবালিকা। বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্য়ায় আঁকা শেখানোর নামে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ছোট মেয়েটির উপর নির্যাতন চালায় বাবার বয়সী শিক্ষক। এবার যেন একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া গেল হুগলীর উত্তরপাড়ায়। কম্পিউটার শিখতে গিয়ে শিক্ষাকের যৌন লালসার শিকার হল এক নাবালিকা। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর উত্তরপাড়ায় (Uttarpara in Hooghly)। ইতিমধ্যেই গ্রেফতারও হয়েছে অভিযুক্ত।
সূত্রের খবর, উত্তরপাড়া ৬৭ শ্রীরাম পল্লীর একটি আবাসনের বাসিন্দা বছর নয়ের নাবালিকা আবাসনের নীচের তলাতেই কম্পিউটার শিখত। কম্পিউটার শেখাত সুরজ শা নামে এক যুবক। সুরজ কলকাতার বালিগঞ্জের বাসিন্দা। তাঁর দিদি জামাইবাবু মাখলার আবাসনে থাকেন। নাবালিকার মা জানান শনিবার দুপুরে কম্পিউটার ক্লাস করার জন্য তাঁর মেয়েকে ডাকে সুরজ। তাঁর দিদি জামাইবাবু সেসময় ফ্লাটে ছিলেন না। অভিযোগ চার তলায় দিদির ফ্লাটে নাবালিকাকে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন চালায় অভিযুক্ত।
এদিকে অন্যান্য দিন কম্পিউটার শিখতে গিয়ে যে সময় ঘরে ফিরত ওই নাবালিকা এদিন সে সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়াতেই বাড়তে থাকে মায়ের চিন্তা। দীর্ঘক্ষণ বাড়ি ফিরছে না দেখে নাবালিকার দিদিমা তাকে খুঁজতে আসেন কম্পিটার ক্লাসে। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন কোনও ক্লাসই হচ্ছে না। এদিকে সে সময়েই কাঁদতে কাঁদতে নীচে নেমে আসে নির্যাতিতা। এরপর দিদিমার কাছেই সব খুলে জানায় সে। খুলে বলে মাকেও। খোদ শিক্ষক ছাত্রীর সঙ্গে এ কাজ করতে পারে তা ভাবতেই পারছিলেন না বাড়ির সদস্যরা। ঘটনার খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকাতেই। এরপরেই উত্তরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা নাবালিকার মা। তারপরেই অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে বলে খবর। এদিকে এ ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিযুক্ত সুরজ শা-র জামাইবাবু। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি সুরজের কঠোর শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন।