Brutal Murder: এত নৃশংস! ধারালো অস্ত্রে ছাত্রীর ধড়-মাথা আলাদা করে দিল যুবক

Murder at Falakata: ছাত্রীর বাড়িতে ঢুকে নৃশংস ভাবে খুন করার পর নদীতে স্নান করে রক্ত ধুয়ে ফেলে আততায়ী যুবক। তারপর ভাত খেতেও বসে বাড়িতে। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Brutal Murder: এত নৃশংস! ধারালো অস্ত্রে ছাত্রীর ধড়-মাথা আলাদা করে দিল যুবক
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 24, 2021 | 6:30 PM

ফালাকাটা : স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ছাত্রী। আচমকা ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে প্রতিবেশী যুবক। মুখে গামছা বেঁছে ছাত্রীর শরীরে এক কোপ। ধড় থেকে মাথা আলাদা হয়ে যায় কিশোরীর। স্কুলের পোশাক পরা অবস্থাতেই বাড়ির সামনে ছিটকে পড়ে যায় তার দেহ। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার খলিসামারি এলাকার ঘটনা। আততায়ী স্বপন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিনে দুপুরে এমন নৃশংস খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েই এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওই যুবক।

বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ফালাকাটার খলিসামারি এলাকায়। মৃত ছাত্রীর নাম অঙ্কিতা শীল। এ দিন সকালে অঙ্কিতা স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরচ্ছিল। সেই সময় পাশের বাড়ির এক যুবক আচমকা এসে তার মুখ বেঁধে চুল টেনে গলায় বসিয়ে দেয় দাঁ-এর কোপ। ঘটনাস্থলে ছিল ওই ছাত্রীর খুড়তুতো বোন। সে ওই ঘটনা দেখে ছুটে বেরিয়ে গিয়ে সবাইকে ডাকতে শুরু করলে তাকেও মারতে উদ্যত হয় ওই যুবক। কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচে ছাত্রীর বোন।

মৃতা ছাত্রী অঙ্কিতা শীল

অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে ফালাকাটা থানায় ধরে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে ফালাকাটা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। জানা গিয়েছে, ঠাণ্ডা মাথায় খুন করে বাড়ির দিকে চলে যায় স্বপন। এরপর নদীতে নেমে স্নান করে ও গা থেকে রক্ত ধুয়ে ফেলে। এরপর বাড়িতে গিয়ে ভাতও খেতে বসে সে। সেই সময়ই তার বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, অনেক দিন ধরেই ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার সময় তার পিছু নিত ওই যুবক। বাড়ির লোকেরা বিষয়টি জানতে পারলেও নিছক ছেলেমানুষি ভেবেই বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। ওই যুবক যে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে, তা কল্পনা করেনি পরিবারের সদস্যরা। এ দিন যখন ঘটনা ঘটে, তখন বাড়িতে কেউ ছিল না। সবাই চাষের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ দিকে, সদ্য স্কুল খুলেছে, তাই দশম শ্রেনির ছাত্রী অঙ্কিতা স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে সমাজকর্মী শাশ্বতী ঘোষ বলেন, ‘আমরা দেখছি যখন কাউকে প্রেমের প্রস্তাবে আপত্তি জানানো হলে, সে মনে করছে তাকে হেনস্থা করা হচ্ছে। এই ঘটনার পর ওই যুবকের জীবন কাটবে জেলে। প্রেমের জন্য তাহলে নিজের জীবন কেন শেষ করল না সে?’ তাঁর কথায়, ‘এখন মেয়েরা প্রেমে না জড়িয়ে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাইছে। চারপাশের মানুষেরা সেই চেষ্টা ব্যহত করছে।’

শিক্ষাবিদ মীরাতুন নাহার এই খুনকে ভয়ঙ্কর অপরাধ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘কুপ্রস্তাব দেওয়া অত্যন্ত অন্যায়, সেই প্রস্তাবে সম্মতি না দেওয়ায় তা প্রাণ নিয়ে নেওয়া, একটা মারাত্মক অপরাধ। সারাজীবনের কারাদণ্ড প্রাপ্য। কী শাস্তি হবে, এরা সবই জানে, জেনেও এ সব ঘটাচ্ছে। এরা অত্যন্ত সচেতনভাবে কাজগুলো করছে।’ মীরাতুন নাহার মনে করেন, ওরা জানে ওদের কোনও শাস্তি হবে না। আদালতেও শাস্তি পেতে গেলে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। পাশাপাশি এদের সমর্থন করার জন্য। প্রভাবশালী লোকেরও অভাব হয়না। তাই তাঁর দাবি, এলাকার মানুষের উচিৎ প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়া।

আরও পড়ুন: দিলীপের উদ্দেশে ‘খেলা হবে’ স্লোগান! ‘তৃণমূলের অসভ্যতামি’ মন্তব্য অগ্নিমিত্রার