AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Humayun Kabir: ‘CPM রাজি, কংগ্রেস-মিমের সঙ্গে জোট’, রাজ্যের কোথায় কোথায় প্রার্থী দেবেন, ভোটের সব অঙ্ক হিসাব করে বোঝালেন হুমায়ুন

ভরতপুরের বিধায়ক বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি শুধু মুর্শিদাবাদে লড়বেন তা নয়, তাঁর নতুন দল লড়বে গোটা রাজ্যেই। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সব জেলাতেই লড়বে তাঁর দল। এ দিন হুমায়ুন বলেন,"মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার। একদম মেখলিগঞ্জ থেকে শুরু করব কাকদ্বীপ পর্যন্ত। কোনও জেলা বাদ যাবে না আমাদের প্রার্থী দাঁড়াবে। খড়গ্রাম-বড়োঞা-এইখানেও প্রার্থী দেব। ওরা যদি ভাবে শুধু মুসলমানদের পার্টি বানাচ্ছে ভুল ভাবছে। রাজনৈতিক ভাবে উৎখাত করাই কাজ।"

Humayun Kabir: 'CPM রাজি, কংগ্রেস-মিমের সঙ্গে জোট', রাজ্যের কোথায় কোথায় প্রার্থী দেবেন, ভোটের সব অঙ্ক হিসাব করে বোঝালেন হুমায়ুন
হুমায়ুন কবীরImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 07, 2025 | 4:49 PM
Share

মুর্শিদাবাদ: ‘সিপিএম রাজি, আর কংগ্রেসের-মিমকে বলব’ বিধানসভা ভোটের আগে আরও একবার নতুন দল নিয়ে মুখ খুললেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। জোট করে তৃণমূলকে হারাবেন সেই বার্তাই এবার দিলেন হুমায়ুন। তিনি ফের জানালেন, আগামী ২২ তারিখ নতুন দল খুলবেন। তাঁর এই নতুন দল যে একদম তৈরি সে বার্তাও দিয়েছেন হুমায়ুন।

এ দিন হুমায়ুন টিভি ৯ বাংলাকে বলেন, “আমার নতুন দল তো রেডি আছে। আগামী ২২ তারিখ ওপেন করব। ওয়েসি সাহেবের সঙ্গে জোট করব। আমার টার্গেট ১৩৫। তার মধ্যে ওয়েসি সাহেব কত ডিমান্ড করেন দেখতে হবে। আমার সঙ্গে সিপিএমও রাজি আছে জোট করতে। সিপিএম-আইএসএফ এদের চারটে সিট ছাড়লাম। ওরা শূন্য আছে তো এখানে। কংগ্রেসও শূন্য। তবে ওদের ১০টা ছাড়লাম। যেহেতু মুর্শিদাবাদে অধীর চৌধুরীর একটা মাস ভ্যালু আছে ওকে দশটা ছাড়লাম। তাহলে ১০ আর চারে ১৪। আমার ৮ আর তার মধ্যে ওয়াইসি সাহেবকে ২ ছাড়ব। আমি ৬টায় লড়ব।”

ভরতপুরের বিধায়ক বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি শুধু মুর্শিদাবাদে লড়বেন তা নয়, তাঁর নতুন দল লড়বে গোটা রাজ্যেই। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সব জেলাতেই লড়বে তাঁর দল। এ দিন হুমায়ুন বলেন,”মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার। একদম মেখলিগঞ্জ থেকে শুরু করব কাকদ্বীপ পর্যন্ত। কোনও জেলা বাদ যাবে না আমাদের প্রার্থী দাঁড়াবে। খড়গ্রাম-বড়োঞা-এইখানেও প্রার্থী দেব। ওরা যদি ভাবে শুধু মুসলমানদের পার্টি বানাচ্ছে ভুল ভাবছে। রাজনৈতিক ভাবে উৎখাত করাই কাজ।” নির্বাচনে মহিলা ও সংখ্যালঘু ভোট যে বড় ফ্যাক্টর তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একুশের ভোটের আগে তৈরি হয়েছিল আইএসএফ। সেই সময় মনে করা হয়েছিল সংখ্যালঘু ভোট ভাগাভাগি হবে। গোটা রাজ্যে ততটা প্রভাব না পড়লেও ভাঙড়ে কিন্তু জমি হারাতে হয় তৃণমূলকে। এবারের ভোটের আগে তৃণমূল থেকে বেরিয়ে নতুন দল গড়বেন বলছেন হুমায়ুন। ইতিমধ্যেই মালদহে ঢুকে পড়েছে ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন’ পার্টি। মালদহের ১২টি বিধানসভার প্রত্যেকটিতেই প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছে তারা। সেই আসাদউদ্দিন ওয়েসির পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধেই ভোট কুড়োতে চাইছেন হুমায়ুন।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “যত খুশি আসনে লড়তে পারে। ভোট আসছে তাই দাম বাড়াতে হবে। গতবার যা আইএসএফ করেছিল এবার হুমায়ুন তাই করছেন।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “কে হুমায়ুন কবীর, কাকে আহ্বান জানাচ্ছেন? আর উনি লড়বেন কোথায়? উনি তৃণমূলে লড়বেন হেরে বিজেপিতে যাবেন। তারপর বিজেপিতে লড়বেন হেরে তৃণমূলে যাবেন। তাই উনি কাকে আহ্বান জানাচ্ছেন তাতে গুরুত্ব দেওয়াই উচিত নয়।” কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, “মিম তো বিহারে বিজেপির উপকার করেছে। বিজেপির হাত শক্ত করেছেন। আসাউদ্দিন ওয়েসির পরিচয় ভারতে ভোট কাটুয়া। তার পাশাপাশি বিজেপি ফান্ডেড ভোট কাটুয়া।” তবে হুমায়ুনের সঙ্গে লড়বেন কি না সেই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।