Jalangi: জবর দখল করে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রেই সংসার পেতে বাস, জানতই না স্থানীয় পঞ্চায়েত
Murshidabad news: স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, এত বছর আগে এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করা হলেও বর্তমান সরকারের সদিচ্ছার অভাব এবং উদাসীনতার কারণেই এটা এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি।
জলঙ্গী : যেখানে চিকিৎসা হওয়ার কথা, সেখানে চিকিৎসা নয়, রীতিমতো মানুষের বাস চলছে সেখানে। বাইরে জামাকাপড় মেলে রাখা। ভিতরটাও দেখলে কেউ বলবে না, এটি কোনও উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। খাট পাতা। তাতে আবার একজন ঘুমোচ্ছেন। সাউন্ড সিস্টেমে গানও চলছে। গোটা উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকেই বাড়ি বানিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী। সেখানে এক উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র জবরদখল করে বসবাস করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তাঁর নাম জাহাঙ্গীর শেখ। জলঙ্গীর চর কাকমারী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তৈরি হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ১২ বছর আগে। তখন রাজ্যে ছিল বামফ্রন্টের সরকার। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, এত বছর আগে এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করা হলেও বর্তমান সরকারের সদিচ্ছার অভাব এবং উদাসীনতার কারণেই এটা এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি।
যদিও এই বিষয়ে জাহাঙ্গীর শেখেরও নিজস্ব যুক্তি রয়েছে। তাঁর বক্তব্য, যে জমিতে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তৈরি হয়েছে, সেটি ছিল তাঁর নিজের জমি। তৎকালীন বাম সরকার নাকি তাঁর নিজের জমিতে জোর করে এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তৈরি করেছিল। এদিকে ছেলে-মেয়ে নিয়ে সংসার জাহাঙ্গীর শেখের। তাঁর জমিতে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন ওই ব্যক্তি। তাই নিজের মতো করে সমাধানের উপায়ও বের করে নিয়েছেন তিনি। সোজা এসে উঠেছেন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
যদিও এই বিষয়ে সাহেবনগরে সিপিএমের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জালাল সেখ বলেন, “এটি খাস জমি। আর আমরা সরকারি জমিতেই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করেছিলাম কিন্তু এই সরকার আসার পর চালু না হওয়ায় এই অবস্থা হয়ে পড়ে রয়েছে।” ভারতের গণতান্ত্রিক নাগরিক মঞ্চের ব্লক পর্যবেক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, “এই জায়গাটি যাতে দখলমুক্ত হয়, তার জন্য বিডিও উদ্যোগ নেবেন। সেই সঙ্গে এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাজ যাতে চালু হয় সেই দাবি জানাচ্ছি।”
সাহেবনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ আবজার হোসেন বলেন,”আমরা এই বিষয়টি শুনলাম। এলাকার এক বাসিন্দা দখল করে বসবাস করছেন। এই বিষয়টি আমরা আগে জানতাম না। আমরাও পঞ্চায়েতের তরফ থেকে চাই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু হোক। যে ব্যক্তি ওখানে বসবাস করছেন, তিনি দাবি করছেন ওটি তাঁর জমি। কিন্তু আমরা খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছি, ওটি খাস জমি। আমরা পঞ্চায়েতের থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব যাতে ওই পরিবারকে ওখান থেকে সরিয়ে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি খোলা হয়।”