
মুর্শিদাবাদ: ‘লুঠ করে খেতে দেব না কান্দিওয়ালাদের।’ নাম না করে কান্দির তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকারকে আক্রমণ বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের। ভরতপুরের বিধায়ক বলেন, ‘লুঠ করে খেয়ে নেতা হবে, আর ভোটের সময় তিন নম্বর, এই সব মানব না।’ নিজের দলকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, “এইসব কথা প্রকাশ্যে বলছি। দল যদি মনে কর আমার মতো অসভ্য ব্যক্তিদের দরকার নেই, তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেখিয়ে দেব মুর্শিদাবাদের রাজনীতির রঙ কীভাবে পাল্টাবে।”
সাম্প্রতিক সময়ে বারবার দল তথা দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শোনা গিয়েছে হুমায়ুনকে। এমনকী নতুন দল তৈরি করার কথাও বলেছিলেন তিনি। পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। হুমায়ুনকে নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের শৃঙ্খলাকমিটির বৈঠকও হয়েছে। বুধবার এক সমাবেশে দাঁড়িয়ে সেই বিধায়ক বলেন, “সম্মান দিয়ে নেতৃত্বের জন্য এখনও অপেক্ষা করছি। আমাদের লেজে পা দিলে, আমরাও ছোবল মারতে জানি।”
বুধবার ভরতপুরে এসআইআর নিয়ে তৃণমূলের ওয়াররুমের উদ্বোধন করেন বিধায়ক। এরপর ভরতপুর পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকায় সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। সেখানে হুমায়ুন কবীর বলেছন, “আমরা কাউকে আগে আঙুল দেখাব না। কিন্তু আমাদের উপরে কেউ এক আঙুল তুললে, আমরা দুই আঙুল তুলব। ইট ছুড়লে পাথরে জবাব দেব। এতদিন অনেক কিছু মুখ বুঝে সহ্য করেছি।”
এরপর অভিযোগের সুরেই বিধায়ক বলেন, “২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে টাকার বিনিময়ে সালার, ভরতপুরের ওসিকে ব্যবহার করে গণনাকেন্দ্রে কীভাবে অরাজকতা সৃষ্টি করে নির্বাচিত হয়েছিল জানি। দুঃখের বিষয়, আজ পর্যন্ত সেইসব প্রধানদের সঙ্গে আমাদের কোনও যোগাযোগ নেই। তারা শুধু জমি লুঠ করতেই ব্যস্ত। আমরা ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেব। তোমাকে এখানে লুঠ করে খেতে দেব না।”
কান্দির বিধায়ক তথা দলের বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অপূর্ব সরকারের নাম না করেই হুমায়ুন কবীর বলেন, “নেতাগিরি করব, আর ভোটের বেলায় তৃণমূলে তিন নম্বর থাকব। কান্দিতে তিন নম্বর, বহরমপুর পুরসভায় তিন নম্বর, তারা আমাদের নেতা হবে। আমাদের চুল চেপে অর্ডার দেবে, তা আমরা মানব না”।