স্টেশনে হকারি করতেন, তার আড়ালেই কি অন্য যোগ? নিমতিতা বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রথম সিআইডি-র জালে এক
চলতি মাসের শুরুতে নিমতিতা স্টেশনে বোমা ফেটে (Nimtita Blast) শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন (Jakir Hossain) গুরুতর জখম হন।
মুর্শিদাবাদ: নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরণ কাণ্ডে (Nimtita Blast) এক ব্যক্তিকে আটক করল সিআইডি (CID)। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি স্টেশনে হকারি করতেন। এই বিস্ফোরণের পিছনে আদৌ তাঁর কী হাত থাকতে পারে, তা এখনও খোলসা করেননি গোয়েন্দারা। তবে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় জানাননি গোয়েন্দারা।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতে নিমতিতা স্টেশনে বোমা ফেটে শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন (Jakir Hossain) গুরুতর জখম হন। তিনি সেদিন রাতে ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন। বোমা বিস্ফোরণে হাত-পা হারান তাঁর সঙ্গে থাকা একাধিক ব্যক্তি। এই ঘটনায় ক্রমেই জোরাল হতে থাকে আইইডি তত্ত্ব। একইসঙ্গে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তরজায় রেল-রাজ্য।
রাজ্যের তরফে স্টেশনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্টেশনে আলো না থাকার কথাও বলা হয়েছে। রেল ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের জানিয়েছে, স্টেশনে অন্ধকার ছিল না। ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের বিস্ফোরণেই আলো নেভে। সিসিটিভি কিংবা আরপিএফ নজরদারিও ছিল পর্যাপ্ত।
আরও পড়ুন: সকলের সামনে দিয়েই ঢোকান রাকেশকে, কিন্তু দেখতে পারলেন না কেউই! বিশেষ কায়দা লালবাজারের গোয়েন্দাদের
ঘটনাস্থলে রেল লাইন থেকে লোহার কনটেনারের টুকরো, ক্যাপাসিটার, বাইকের ব্যাটারির অংশ উদ্ধার করে সিআইডি। মূলত এগুলি আইইডি বিস্ফোরণেই ব্যবহার করা হয় বলে সিআইডি সূত্রে খবর। প্রশ্ন উঠেছে রেলের ভূমিকা নিয়েও। স্টেশন থেকে বিস্ফোরকের যে ব্যাগটি উদ্ধার হয়েছে তা আরপিএফের নজর কীভাবে এড়িয়ে গেল তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে। একইসঙ্গে কেন ওই স্টেশনে কোনও সিসি ক্যামেরা বা পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই সেদিকটাও নজরে রয়েছে তদন্তকারীদের।