Murshidabad: মাটি খুঁড়ছিলেন শ্রমিকরা, পরে উদ্ধার দ্বিতীয় শাহ আলমের আমলের মুদ্রা
Murshidabad: মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পৌরসভার আমুইপাড়ার ঘটনা। সেখানে পৌরসভার উদ্যোগে পরিশ্রুত পানীয় জল প্রকল্পের পাইপ লাইনের কাজ চলছিল।
মুর্শিদাবাদ: মাটি খুঁড়তেই উঠে এল প্রচুর প্রাচীণ মুদ্রা। তবে কতগুলি মুদ্রা উদ্ধার হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।সোমবার রাত পর্যন্ত মাটি কাটার কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের কাছ থেকে প্রায় ২২টি মুদ্রা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ উদ্ধার করেছে সেগুলি। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পৌরসভার আমুইপাড়ার ঘটনা। সেখানে পৌরসভার উদ্যোগে পরিশ্রুত পানীয় জল প্রকল্পের পাইপ লাইনের কাজ চলছিল। এবার মাটি খুঁড়তে থাকেন ওই শ্রমিকরা। খুঁড়তে গিয়েই সেখান থেকেই পাওয়া যায় দ্বিতীয় শাহ আলমের আমলের মুদ্রা। মাটির তলা থেকে মুদ্রা মিলতেই তড়িতড়ি সেগুলি হাতিয়ে কাজ ছেড়ে পালায় শ্রমিকরা। বোঝা যায়নি কতগুলি মুদ্রা তাঁরা পেয়েছেন। এ দিকে, ঠিকাদার সংস্থার নিযুক্ত শ্রমিকদেরও কোনও হদিশ মেলেনি।
মুর্শিদাবাদ জেলা সংগ্রহশালার কিউরেটের মৌসুমি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মুদ্রাগুলি দ্বিতীয় শাহ আলমের আমলের। আনুমানিক ১৭১২-১৭২০ সালের মধ্যে মুর্শিদাবাদের মিন্ট থেকে তৈরি।’ মৌসুমীদেবীর বক্তব্য, মুদ্রাগুলির প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব অনেক। কিন্তু যাঁরা পেয়েছেন তাঁদের কাছে ধাতব মূল্য ছাড়া আর কোনও গুরুত্ব নেই।’
প্রসঙ্গত, এর আগেও সাগরদিঘির একটি ঢিপি থেকে কয়েকশো প্রাচীন মুদ্রা মিলেছিল। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতেই ভারতবর্ষের প্রথম মুদ্রা তৈরি হত বলে ইতিহাসে উল্লেখিত। নবাব আমলে মুর্শিদাবাদই ছিল স্বর্ণ, রূপো মুদ্রার মিন্ট। তদন্তে নেমে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ সোমবার রাত পর্যন্ত ২২টি মুদ্রা উদ্ধার করতে পেরেছে। স্থানীয়দের দাবি পিতলের কলসি ভরতি মুদ্রা নিয়ে পালায় শ্রমিকরা। কলসিতে শতাধিক মুদ্রা ছিল বলে অনুমান স্থানীয়দের। উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।