Sehegal Hossain: বাবার মৃত্যুর পর কনস্টেবলের চাকরি, সেহেগলের কয়েক কোটির জমি-বাড়ি দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে

Sehegal Hossain: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত-র দেহরক্ষী সেহেগল। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে বলে সূত্রের খবর।

Sehegal Hossain: বাবার মৃত্যুর পর কনস্টেবলের চাকরি, সেহেগলের কয়েক কোটির জমি-বাড়ি দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে
গরু পাচার মামলায় প্রথম চার্জশিট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 10, 2022 | 4:27 PM

ডোমকল : গ্রেফতারির খবর সংবাদমাধ্যমে দেখার আগে সেহেগল নামে হয়ত অনেকেই চিনতেন না তাঁকে। তবে ডোমকলের মালিথাপাড়ায় ববিনের বাড়ি বললে একবারেই চিনিয়ে দেবেন সবাই। গ্রামের মাঝে সবুজ অট্টালিকা সবাই চেনেন। কয়েক কাঠা জমির ওপর প্রাসাদোপম বাড়ি। কনস্টেবলের চাকরি করে তিনি কী ভাবে এমন বাড়ি বানালেন, সে প্রশ্ন যে কারও মনে জাগেনি তা নয়, তবে সে নিয়ে বিশেষ কৌতূহল প্রকাশ করতেন না প্রতিবেশীরা। এলাকায় সাতে-পাঁচেও খুব একটা থাকতেন না সেহেগল। শুধু চোখের সামনে তাঁর সম্পত্তি ফুলে-ফেঁপে উঠতে দেখেছেন তাঁরা।

বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে দীর্ঘক্ষণ জেরার পর গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সেহেগল হোসেনকে। গরু পাচার মামলায় তাঁর জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এনামুল হকের কাছ থেকে মোটা টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সেহেগলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, তাঁর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তিরও খোঁজ মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।

ডোমকলে একটি নয়, মোট তিনটি বাড়ি রয়েছে সেহেগলের। মালিথাপাড়ার ওই বাড়ি ছাড়াও বাজারপাড়া ও ধুলাউড়িতেও রয়েছে বাড়ি। এলাকাবাসীর দাবি, সম্প্রতি সেহেগল এলাকায় পরপর বেশ কয়েকটি জমি কিনে নিয়েছেন। এক প্রতিবেশী জানান, ওই এলাকায় জমির দাম শতক প্রতি ৫-৬ লক্ষ টাকা। সেহেগল যত জমি কিনেছেন, তাঁর দাম প্রায় ৫-৬ কোটি টাকার কাছাকাছি হবে বলেই জানা গিয়েছে। ৮-৯ মাস আগে সে সব জমি কেনা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে অনুব্রতর নামে জমি রয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

যাঁরা ববিন ওরফে সেহেগলকে অনেক দিন ধরে চেনেন, তাঁরা জানেন বাবা মারা যাওয়ার পরই কনস্টেবলের চাকরিটা পেয়েছিলেন সেহেগল। বাবার তৈরি বাড়িতেই থাকতেন তিনি। আর সেই চাকরি করতে করতেই জমি, বাড়ি সবকিছু করেছেন তিনি। কিছুদিন আগে তাঁর ওই বাড়িতেও গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তখন থেকেই এলাকার মানুষ কানাঘুষো শুনছিলেন। আর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁরা সংবাদমাধ্যমে জানতে পারেন গ্রেফতার হয়েছেন সেহেগল। কী এমন করতেন যে গ্রেফতার হতে হল, সে সম্পর্কে এলাকার মানুষের বিশেষ ধারণা নেই।

বিরোধীরাও একাধিকবার দাবি করেছেন, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলতে গেলে প্রাচীরের কাজ করতেন সেহেগল। বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির যে কোনও ব্যক্তিগত কাজেও যে সেহেগলই সাক্ষী ছিলেন, সেটাও জানতেন অনেকেই। আর কানাঘুষো শোনা যায়, শুধু মুর্শিদাবাদ নয় বোলপুরেও সম্পত্তি রয়েছে সেহেগলের। রয়েছে ফ্ল্যাট, জমি। তবে প্রকাশ্যে সে কথা স্বীকার করতে চান না কেউ। এবার সেহেগলকে গ্রেফতার করে আর কোন সূত্র সিবিআই খুঁজে পায়, সেটাই এখন দেখার।

সূত্রের খবর, গরু পাচারকাণ্ডের যিনি মূল অভিযুক্ত, সেই এনামুল হক সিবিআইয়ের কাছে যে বয়ানে জানিয়েছেন, গরু পাচারে বীরভূমকে করিডর হিসাবে ব্যবহার করতে গেলে তাঁকে মোটা টাকা দিতে হত। আর সেই টাকা এই সেহেগল হোসেনই নিতেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এর সপক্ষে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণও সিবিআইয়ের হাতে এসেছে।