মুর্শিদাবাদ: ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল। প্রতিবাদে রবিবার মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে মিছিল ছিল তৃণমূলের। সেই মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় তৃণমূলের ব্লক নেতারা বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেও আক্রান্তদের একাংশের দাবি, তৃণমূলের লোকের হাতেই মার খেতে হয়েছে তাঁদের। এই ঘটনা ঘিরে রবিবার উত্তেজনা ছড়ায় খড়গ্রামে। আটজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। বিজেপির দাবি, এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই ঝামেলা। ঘরের কোন্দলকে চাপা দিতে, বিজেপির ঘাড়ে দোষ ঠেলতে চাইছে ব্লকের নেতারা। তদন্তে খড়গ্রাম থানার পুলিশ।
রবিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার অন্তর্গত মাড়গ্রাম অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে একটি মিছিল বের হয়। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা না দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মিছিল করছিল শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা। হঠাৎ সেই মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার লেগে যায়। এক পক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আরেক পক্ষ। তুমুল মারামারির অভিযোগ ওঠে। দু’ তরফেরই আটজন জখম হন। কারও মাথা ফাটে, কারও আবার পিঠে, কোমরে আঘাত লাগে। কারও আবার মুখ ফেটে রক্ত ভেসে যায়।
প্রথমে আহতদের খড়গ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় তৃণমূলের একপক্ষ বিজেপির দিকে আঙুল তুললেও, আরেকপক্ষ সেই অভিযোগ অস্বীকার করে জানান তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর এই দ্বন্দ্ব। মানারুল শেখ নামে আক্রান্ত এক যুবক বলেন, “আমাদের সব একই দল, তৃণমূল। একই ঝান্ডা আমাদের। হঠাৎই মিছিলের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। রাস্তা ঘিরে যে যাকে পেরেছে মেরেছে। আমার সঙ্গে আলম, আনসার, খুদু, সফিকুলকে মেরেছে।”
এই ঘটনা প্রসঙ্গে খড়গ্রামের ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি জ্যোতির্ময় মণ্ডল বলেন,”১০০ দিনের টাকা নিয়ে কেন্দ্রের যে বঞ্চনা, তারই প্রতিবাদে আজ মাড়গ্রাম অঞ্চল তৃণমূল পথে নেমেছিল। এটা সাধারণ মানুষের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রোজগারের টাকা। সেটায় বঞ্চনা হচ্ছে। বিজেপি চাইছিল প্রথম থেকেই এই মিছিলে বাধা দিতে। ওরা যে চাইবে, সেটা তো সকলেই জানে। কারণ কেন্দ্রে ওদেরই সরকার। সেই সরকারের বিরুদ্ধেই তো আমরা পথে নেমেছি। তাই ঝামেলা করেছে। আমরা পুলিশকে সবটাই জানিয়েছি।” তিনি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে দেন। অন্যদিকে উত্তর মুর্শিদাবাদ বিজেপির সহ সভাপতি প্রকাশ রাজবংশী বলেন, “আজ খড়গ্রাম ব্লকে মাড়গ্রামে যা ঘটল তা সকলেই জানে। এখন তৃণমূলের নেতারা বলার চেষ্টা করছে, এটা বিজেপি নাকি করেছে। একেবারেই ভিত্তিহীন কথা।”