BSF: নদিয়া সীমান্তে পাচারকারীদের গুলিতে জখম বিএসএফ জওয়ান, আঘাত গুরুতর
BSF: গুলিবিদ্ধ ওই জওয়ানের নাম সতীশ কুমার বলে জানা গিয়েছে। ৫১ বছর বয়স তাঁর। সীমানগর ৮২ ব্যাটলিয়নের হেড কনস্টেবল তিনি।
নদিয়া: সীমান্ত ধরে ফেনসিডিল পাচারের চেষ্টা। সেই সময়ই বিএসএফ জওয়ানকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল পাচারকারীদের বিরুদ্ধে। নদিয়ার চাপড়াতে এই ঘটনা ঘটে। এক ফেনসিডিল পাচারকারীর গুলিতে গুরুতর জখম হন এক বিএসএফ জওয়ান। তাঁর শরীরে দু’টি গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। একটি বুকে লাগে, অন্যটি গলায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চাপড়া থানার সীমান্তবর্তী এলাকা মহাকোলা এবং গোংরার মাঝামাঝি জায়গায় সোমবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, কয়েকজন পাচারকারী নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ ফেনসিডিল পাচারের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। সীমান্তরক্ষী বাহিনী খবর পেয়ে তাঁদের তাড়া করতেই পাচারকারীরা গুলি ছুঁড়তে থাকেন বলে অভিযোগ। এক পাচারকারীর গুলিতে গুরুতর জখম হন এক জওয়ান।
গুলিবিদ্ধ ওই জওয়ানের নাম সতীশ কুমার বলে জানা গিয়েছে। ৫১ বছর বয়স তাঁর। সীমানগর ৮২ ব্যাটলিয়নের হেড কনস্টেবল তিনি। সূত্রের খবর, ঘটনার সময় ১০-১২ জন পাচারকারী ছিলেন। বিএসএফ জওয়ানরা ধাওয়া করতেই সতীশ কুমারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। জখম জওয়ানকে নিয়ে যাওয়া হয় চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে।
গত সপ্তাহেই গোংরা গ্রামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে বাংলাদেশি টাকা উদ্ধার হয়। মোট ৩৭ লক্ষ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার হয়। সীমান্তরক্ষী বাহিনী সবসময়ই কড়া পাহারায়। কিন্তু তার মধ্যেও সীমান্ত এলাকায় পাচারের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে প্রায়ই। তা ফেনসিডিল হোক বা সোনার বিস্কুট কিংবা গরু কিংবা গাঁজা। অভিনব কায়দায় সীমান্তে চলে পাচারকার্যের চেষ্টা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অবশ্য তা রুখে দেন জওয়ানরা। কিছুদিন আগেই বাইকের ব্যাটারিতে করে সোনা পাচারের চেষ্টা করা হয়েছিল। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি পাচারকারীদের। হাতেনাতে ধরা পড়ে যান পাচারকারী।