‘ভাবিনি, এত সামান্য কথায় এত বড় কাণ্ড ঘটাবে’, মাকে ‘গুলি করে’ পলাতক ছেলে!
Shootout in Nadia: আহত পূর্ণিমা বিবির পুত্রবধূ রাকিবা বিবির অভিযোগ, শুক্রবার বিকেলে, আচমকা বাড়িতে তাঁর দেওর অভিযুক্ত রাহুল মণ্ডলের সঙ্গে দাদাশ্বশুরের বচসা শুরু হয়।
নদিয়া: পারিবারিক বিবাদের জেরে মাকে গুলি করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার, নিজেদের মধ্যে অশান্তির জেরে নিজের মাকে গুলি করে মারেন রাহুল মণ্ডল অভিযোগ এমনটাই। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, নাকাশিপাড়া থানার চন্দন পুর মণ্ডল পাড়া এলাকায়। আহত পূর্ণিমা বিবি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
আহত পূর্ণিমা বিবির পুত্রবধূ রাকিবা বিবির অভিযোগ, শুক্রবার বিকেলে, আচমকা বাড়িতে তাঁর দেওর অভিযুক্ত রাহুল মণ্ডলের সঙ্গে দাদাশ্বশুরের বচসা শুরু হয়। বচসার জেরে, রাহুল বলে বসেন তিনি ‘দাদুকে’ গুলি করে মারবেন। অভিযোগ, এরপরেই ঘরের মধ্যে থেকে পিস্তল বের করে আনেন রাহুল। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বাধা দিতে যান মা পূর্ণিমা বিবি। সঙ্গে সঙ্গে রাহুল গুলি চালিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এরপরেই রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন পূর্ণিমা বিবি। সেই সুযোগে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। পূর্ণিমা বিবিকে শক্তি নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাকিবা বিবির কথায়, “রাহুলের একটা বছর তিনেকের মেয়ে রয়েছে। সেই মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে আনার পর থেকে ঝামেলা শুরু হয়। শুক্রবার বিকেলে দাদু অর্থাত্ আমার দাদাশ্বশুর বলেন বাচ্চাটাকে ওর মামাবাড়ি দিয়ে আসতে। কিন্তু রাহুল বলে মেয়ে তার কাছে আরও একদিন থাকুক। এই নিয়ে বচসা শুরু হয়। আচমকা রাহুল রেগে গিয়ে পিস্তল বের করে আনে। বলে দাদুকে মারবে। মা-ঠাকুমা দুজনে বাধা দিতে গেলেও পারেনি। আমার দেওর শাশুড়িকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ভাবিনি, এত সামান্য কথায় এত বড় কাণ্ড ঘটাবে”
ঘটনায়, নাকাশিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। রাহুলের কাছে কীভাবে পিস্তল এল, বাড়িতে আর কোনও অস্ত্র মজুত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও পড়ুন: পুলিশি হেফাজতে কীভাবে মৃত্যু বন্দির? বরাকর-কাণ্ডে তদন্তে সিআইডি