ICDS: খাবারে সাপ! সব সীমা ছাড়াল ICDS সেন্টারের মিল…

ICDS: সূত্রের খবর, চাপড়ার ডোমপুকুর রাস্তা পড়ার বাসিন্দা ফারজিনা খাতুন জানান,  অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে শিশুদের জন্য খাবার আনতে গিয়েছিলেন। তিনি সেখান থেকে খাবার নিয়ে বাড়ি চলে এসে তাঁর শিশুদের খিচুড়ি খাওয়াচ্ছিলেন। কিছুটা খাওয়ানোর পরই তিনি দেখতে পান, খিচুড়িতে কিছু একটা পড়ে রয়েছে।

ICDS: খাবারে সাপ! সব সীমা ছাড়াল ICDS সেন্টারের মিল...
ICDS সেন্টারে খাবারে সাপImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 12, 2025 | 2:29 PM

নদিয়া: অঙ্গনওয়াড়ির কেন্দ্রের খাবারে সাপ! নদিয়ায় অসুস্থ বেশ কয়েকজন শিশু, অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য। কেন শিশুদের খাবারের মধ্যে সাপ? কেন এত উদাসীনতা শিশুদের খাদ্য নিয়ে? উত্তর নেই শিশু সংহতি বিকাশ দফতরের আধিকারিকের। TV9 বাংলাকে খবর না করার পরামর্শ। নদিয়া চাপড়ার ডোমপুকুরের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ঘটনা। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবার ঘিরে বিতর্ক যেন থামছেই না ! ফের আবার খাবার থেকে উদ্ধার হয়েছে সাপ ! অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে নেওয়া খিচুড়ি কিছুটা বাচ্চাদের খাইয়ে দেওয়ার পর তাদের মা দেখতে পান খাবারের মধ্যে একটি সাপের খোলস। গ্রামে মসজিদে থেকে মাইকিং করে এলাকার মানুষকে জানানো হয়, যাতে ওই অঙ্গনওয়াড়ি থেকে দেওয়া খাবার যেন কেউ না খায়।এই ঘটনা জানাজানি হতেই তুমুল শোরগোল শুরু হয় এলাকায়। নদিয়ার চাপড়ার ডোমপুকুরের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘটনা।

প্রথমে ওই খিচুড়ি খাওয়ার পর দুটি বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরপর অসুস্থ হতে থাকে আরও শিশুরা।তৈরি হয় প্রবল উত্তেজনা। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই খাবার খেয়ে এখনো পর্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়ে কুড়িটি শিশু বলে জানা যায়। অসুস্থ শিশুদের উদ্ধার করে চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় এলাকার মানুষ।

সূত্রের খবর, চাপড়ার ডোমপুকুর রাস্তা পড়ার বাসিন্দা ফারজিনা খাতুন জানান,  অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে শিশুদের জন্য খাবার আনতে গিয়েছিলেন। তিনি সেখান থেকে খাবার নিয়ে বাড়ি চলে এসে তাঁর শিশুদের খিচুড়ি খাওয়াচ্ছিলেন। কিছুটা খাওয়ানোর পরই তিনি দেখতে পান, খিচুড়িতে কিছু একটা পড়ে রয়েছে। যা দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। কিছুটা খতিয়ে দেখতেই তিনি বুঝতে পারেন, খিচুড়িতে রয়েছে একটি সাপ খোলস অভিভাবকদের জানানোর পর সবাই মিলে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে গিয়ে তুমুল বিক্ষোক্ষ দেখান। তাঁদের দাবি, একাধিকবার খাবারের মান নিয়ে মানুষের ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলেও কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।

এর মাঝেই ওই শিশুদের ও প্রসূতি মায়েদের খাওয়ার খিচুড়ি সাপের নমুনা দেখার পর একে একে প্রায় ২০টি শিশু অসুস্থ বোধ করে। চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবশ্য তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ফের একবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে সাপ খোলস দেখায় দেখা মেলায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবার তৈরিতে গাফিলতি নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। সিডিপিও বাবুল ইসলাম বলেন, “শুনেছি বাড়িতে খাবার নিয়ে যাওয়ার পর, ফেরত নিয়ে এসে বলছে যে সাপের খোলস পাওয়া গিয়েছে। আমাদের সুপার ভাইজার রিপোর্ট দিয়েছে। তদন্ত হচ্ছে।”