নদিয়া: পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ি দেখে প্রথম দফায় সন্দেহ করেননি কেউ। কিন্তু, দায়িত্বরত পুলিশ অধিকর্তাদের কী মনে হতেই গাড়িটিকে আটক করেন তাঁরা। তারপরেই চক্ষু চড়কগাছ সকলের! গাড়ির ভেতরে গাঁজার পাহাড় (Weed Smuggling)! পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িতে এভাবেই চলছিল গাঁজা পাচার চক্র। ঘটনায় উত্তম ঘোষ নামে গ্রেফতার এক যুবক।
নবদ্বীপ থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িতে করেই দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা পাচার করতেন। এভাবে প্রায় লক্ষাধিক টাকার গাঁজা তিনি পাচার করে (Weed Smuggling) ফেলেছিলেন। ওই যুবক নবদ্বীপ পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
বুধবার রাতে, অভিযুক্ত ওই যুবককে ফরেস্টডাঙা মোড় থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অত রাতে ওই এলাকা থেকে এইভাবে পুলিশের গাড়ি যেতে দেখে সন্দেহ হয়। তখনই গাড়িটিকে আটকে রেখে তল্লাশি চালাতেই গাঁজা উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া গাঁজার পরিমাণ প্রায় ২২ কিলো বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ধৃতকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে একটি নম্বরবিহীন মারুতি গাড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ধৃত যুবক চায়ের দোকানের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরেই গাঁজার ব্যবসা করছিল ওই যুবক। কিন্তু, হাতে কোনও প্রমাণ ছিল না।
ওই যুবক কী করে পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ি পেলেন? কী করেই বা তিনি এই গাড়ি ব্যবহার করলেন, আদৌ বা গাড়ির স্টিকারটি ভুয়ো কি না এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক করছে তদন্তকারীদের মনে। পাশাপাশি, এই ঘটনায় কোনও পুলিশ আধিকারিক জড়িত কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও, নিজের বিরুদ্ধে আসা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধৃত উত্তম ঘোষ।
বৃহস্পতিবার ধৃতকে জেলা আদালতে তোলার আগে উত্তম বলেন, “আমি ও আমার বাবা বাড়িতে থাকি। আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ আসছে তা মিথ্য়ে। আমি কোনও পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত নই। আমায় মিথ্যে ফাঁসানো হয়েছে।”
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে চন্দননগরে ভুয়ো ডিএসপি ধরা পড়েছে। ধৃতের নাম সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী। জানা গিয়েছে তাঁর বাড়ি হুগলির চন্দননগরের বক্সি গলিতে। পুলিশ সূত্রে খবর, রাত ১১ টা ১৫ নাগাদ চন্দননগর স্ট্যান্ড রোডে রানিঘাটের কাছে একটি সাদা স্করপিও গাড়িকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পুলিশ। গাড়িটির নম্বর WB 19J 7988, তাতে আবার নীলবাতি ও হুটার লাগানো ছিল। সামনে গভর্নমেন্ট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল-এর স্টিকার লাগানো ছিল। গাড়িটি দেখেই সন্দেহ হয় পুলিশের।
রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ, চন্দননগর থানার কাছেই রানিঘাট এলাকায় রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়েই মদ্যপান করছিলেন ওই যুবক। তখনই সন্দেহ হয় কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারদের। তারপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আরও পড়ুন: পাহাড়ে লুপ্ত বিনয়পন্থী মোর্চা, আত্মপ্রকাশের পরেই কাজে নতুন দল, ঘোষণা অনীতের