Sukanta Majumdar: ‘২০২৪ সালেই হতে পারে বিধানসভা ভোট’, কেন এমন বললেন সুকান্ত?

Sukanta Majumdar in Nadia: হিসেব মতো ২০২৬ সালে আবার বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। তবে বুধবার কল্যাণীতে বিজেপির রাজ্য সভাপতির ২০২৪ সালে বিধানসভা ভোট হওয়ার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য ঘিরে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

Sukanta Majumdar: '২০২৪ সালেই হতে পারে বিধানসভা ভোট', কেন এমন বললেন সুকান্ত?
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 25, 2022 | 8:45 PM

নদিয়া : ২০২৪ সালেই আবার বিধানসভা ভোট? জল্পনা উস্কে দিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার কল্যানীতে এক দলীয় কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীরা। সেখানেই সুকান্ত মজুমদার দলীয় নেতাদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন প্রস্তুত থাকার জন্য। বললেন, “বিধায়করা কোমর বাঁধুন। আপনাদের বিধানসভা ভোট হয়ত ২০২৪ সালেই হতে পারে। কেউ নিশ্চিত করতে পারে না, দিদির দলের অবস্থা ভাল না।” ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। তৃতীয় বারের জন্য সরকার গঠন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিসেব মতো ২০২৬ সালে আবার বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। তবে বুধবার কল্যাণীতে বিজেপির রাজ্য সভাপতির ২০২৪ সালে বিধানসভা ভোট হওয়ার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য ঘিরে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলাতেও এই একই ধরনের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শোনা গিয়েছিল। কয়েকদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে এক দলীয় কর্মসূচি থেকে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচন একইসঙ্গে হতে চলেছে। তাঁর বক্তব্য ছিল, “রাজ্য সরকার পুলিশকে দিয়ে যে ভাবে মানুষের ওপর নির্যাতন করছে তাতে ২০২৪ সালে রাজ্যে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে হবে।” শুধু এখানেই থেমে থাকেননি শুভেন্দু, সেই সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, নবান্নের মাথায় নাকি গেরুয়া পতাকা উড়বে।

কিছুদিন আগে রাজ্য সফরে এসে নরেন্দ্র মোদীর সেনাপতি অমিত শাহও বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, “অনুপ্রবেশ ও পাচার স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য ছাড়া রোখা সম্ভব নয়। খুব শীঘ্রই সেই রাজনৈতিক পরিস্থিতিও তৈরি হয়ে যাবে।” অমিত শাহ, শুভেন্দু অধিকারী, তারপর সুকান্ত মজুমদার… বিজেপি নেতাদের এমন মন্তব্যগুলি কীসের দিকে ইঙ্গিত করছে, তা নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

উল্লেখ্য, অমিত শাহ বাংলা সফরে এসে দলীয় নেতাদের বার্তা দিয়ে গিয়েছেন, বিজেপি সরকার ৩৫৬ ধারার পক্ষে নয়। চাইলেই একটি রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে ফেলা যায় না, সেই কথাও তিনি বলে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরও এমন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যগুলি ঘিরে আবার নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। সাম্প্রতিককালে বিজেপির তরফ থেকে এমনকী কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীও রাজ্যে ৩৫৫ ধারার দাবি তুলেছিলেন। এই ৩৫৫ ধারায় বলা রয়েছে, কোনও অঙ্গরাজ্যকে বাইরের আগ্রাসন এবং অভ্যন্তরীণ গন্ডগোলের থেকে উদ্ধার করা কেন্দ্রের দায়িত্ব এবং সংবিধান মেনে যাতে প্রতিটি রাজ্যের সরকার চলে, তার ব্যবস্থা করাও কেন্দ্রের কর্তব্য।  এখন বিজেপি নেতাদের একের পর এক এমন মন্তব্য কীসের উপর ভিত্তি করে, তা নিয়ে বেশ গুঞ্জন ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে।