প্রেমিককে ভরসা করে পাচার হয়ে গিয়েছিলেন, ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে এখন ‘বাধা’ সমাজ

মিষ্টি কথায় ভুলেছিল, প্রথমে বন্ধুত্ব, ফের প্রেম, তার সারা জীবন একসঙ্গে কাটানোর প্রতিশ্রুতি।

প্রেমিককে ভরসা করে পাচার হয়ে গিয়েছিলেন, ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে এখন 'বাধা' সমাজ
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Updated on: Dec 18, 2020 | 5:11 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: এভাবেও ফিরে আসা যায়! বিক্রি হয়ে যাওয়া মেয়েটা সেটাই প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন। সমাজের অন্ধকার দিকটা দেখে এসেছে সে, এবার মূল স্রোতে ফেরার লড়াই। কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেই সমাজ নামক কাঁটাতার।

বসিরহাটের হাসনাবাদের আমরুলগাছা গ্রামের বছর চব্বিশের যুবতী ভরসা করেছিল পাশের গ্রামেরই এক যুবককে। মিষ্টি কথায় ভুলেছিল, প্রথমে বন্ধুত্ব, ফের প্রেম, তারপর সারা জীবন একসঙ্গে কাটানোর প্রতিশ্রুতি। দু’বছর আগে ভরসা করেই সেই যুবকের হাত ধরে ঘর ছেড়েছিল সে। কিন্তু ‘প্রেমিক’ বিক্রি করে তাকে। ভিন রাজ্যে পাচার হয়ে যায়। এরপর একটা নতুন অধ্যায়। শুরু হয় অন্য লড়াই।

হাসনাবাদের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে বাড়ি ফিরলেও আজ সামাজিক বয়কটের মুখে ওই যুবতী। বাড়ির লোক মেনে নিলে‌ও গ্রামবাসীরা মানতে পারছেন না তাকে। অভিযোগ, বাড়ি থেকে বেরোলেই সইতে হচ্ছে বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গি, অশ্লীল কথা। কপালে জুটেছে গ্রামছাড়া নিদানও।

যুবতী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। হাসনাবাদ থানায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনও ফল মেলেনি। এমনই অভিযোগ যুবতীর। হাসনাবাদ ব্লকের ৩০ জন মহিলা ও যুবতী চাইল্ড লাইনের সাহায্য নিয়ে ওই নিগৃহীতার পাশে দাঁড়িয়েছেন। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লক্ষী দলুই ও বিডিও মোস্তাক আহমেদকে লিখিত অভিযোগ দেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: স্বামীজীর বাড়ি হয়েই ‘শাহি’ সফর শুরু

লক্ষী বলেন, “পুরো বিষয়টি আমরা দেখছি। পুলিসকে বলছি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে।” আপাতত সুদিনের আশায় ওই যুবতী। আর লড়াই চালাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।