Khardah: খাওয়ার জল দিয়েই সুইমিং পুল! ১৪৪ ধারা জারি করে চলছে নির্মাণ কাজ
West Bengal: সূত্রের খবর, খড়দহ পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যসেন এলাকা। সেখানে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণের জন্য চালু হয়েছে একটি নতুন সুইমিং পুলের।
খড়দহ: পানীয় জলের হা হাকারে জেরবার খড়দহ পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ড। সেখানে রীতিমতো জল পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় পানীয় জল ব্যবহার করা হচ্ছে সুইমিং পুল বানাতে। ফলত জলের অপচয় রুখতে সুইমিং পুল বন্ধের নোটিস দিল খড়দহ পুরসভা।
সূত্রের খবর, খড়দহ পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যসেন এলাকা। সেখানে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণের জন্য চালু হয়েছে একটি নতুন সুইমিং পুলের। সেই সুইমিং পুলের জল নেওয়া হচ্ছে পুরসভার পানীয় জল থেকে। শুধু তাই নয়, সুইমিং পুলটি তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ দিতে যা প্রয়োজন অর্থাৎ বৈধ কাগজও নেই পুল কর্তৃপক্ষের কাছে। অনুমতি নেওয়া হয়নি পৌরসভার বা প্রশাসনিক কারোর। এমনই অভিযোগ তুলে চিঠি দিয়েছে খড়দহ পুরসভা।
গ্রীষ্মের দাবদহে এমনিতেই পানিহাটি সহ বহু এলাকায় দেখা দিয়েছে পানীয় জলের তীব্র সমস্যা। এই পরিস্থিতিতে পুলের জন্য পানীয় জলের ব্যবহার করলে গোটা খড়দহ অঞ্চলে দেখা দিতে পারে জল সমস্যা। আর সেই কারণে পুল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে খড়দহ জল বিভাগের পৌর পারিষদ শান্তনু ভট্টাচার্য। এ দিকে, চিঠি পেয়ে উত্তর তো দিলেনই না, পাল্টা শান্তনু ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুল কর্তৃপক্ষ। তাঁর অভিযোগ, ওই নোটিসের কোনও বৈধতা নেই।
খড়দহ পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান সায়ন মজুমদার বলেন, ‘যে ভাবে লেকে ও কলেজ স্কোয়ারে দুর্ঘটনা ঘটেছে তার থেকে শিক্ষা নিয়ে বাচ্চাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পৌরসভার পক্ষ থেকে সব অনুমতির কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। এবং পৌরসভার পানীয় জল পুলের জন্য ব্যবহার করতে বারণ করা হয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রশাসনিক সব দফতরে লিখিত অভিযোগ জানান হয়েছে। এরপরও পুল কর্তৃপক্ষ কাগজ না দেখালে পৌরসভা আইনি ব্যবস্থা নেবে।’
যদিও, সূর্যসেন সুইমিং পুলের সম্পাদক নারায়ণ দত্ত পুলের জন্য আলাদা জলের ব্যবস্থা নেই একথা স্বীকার করলেও পুরো ঘটনার জন্য পৌরসভার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে আলোচনায় বসার আবেদন জানিয়েছেন।