Basirhat woman death: গর্ভে পাঁচ মাসের সন্তান, ঝুলন্ত দেহের গায়ে কিসের দাগ? সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
Basirhat woman death: দিনের পর দিন মেয়েকে মারধর করা হত বলে অভিযোগ তুলেছেন গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, মেয়েকে বাপের বাড়ির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতে দেওয়া হত না।
বসিরহাট : পণপ্রথার বলি! অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় ক্রমেই সামনে বাড়থে রহস্য। গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মারধর ও খুনের অভিযোগ তুলেছে তারা। অভিযুক্তরা পলাতক। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হাড়োয়া থানার শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তালবেড়িয়া গ্রামের ঘটনা। শুক্রবার সকালে সোবানা খাতুন নামে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ। সোবানা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে তার পরিবার।
হাড়োয়া থানার কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মাখলা গ্রামের বাসিন্দা বছর ২১- এর সোবানা খাতুনের সঙ্গে এক বছর আগে বিয়ে হয় সান্টু মোল্লা নামে এক যুবকের। সান্টু শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তালবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। সান্টু পেশায় দর্জি বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। বিয়ের পর থেকেই কারণে-অকারণে নানা ভাবে সোবানার ওপর অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই সোবানাকে টানা আনার জন্য চাপ দেওয়া হত, বাপের বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেও দেওয়া হত না।
শুক্রবার দুপুরে সোবানার বাপের বাড়িতে খবর যায়, তাঁদের মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানানো হয় পরিবারকে। তারপরই বধূর বাপের বাড়ির লোকজন হাড়োয়া থানার পুলিশকে খবর দেয়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। পুলিশ গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই বধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যে বাপের বাড়ির লোকজন সোবানাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেছেন হাড়োয়া থানায়। তাঁদের দাবি, মৃতদেহ দেখে তাঁদের মনে হয়েছে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর পিঠে মারধরের দাগ আছে বলেও অভিযোগ।
মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে নাকি বধূ আত্মহত্যা করেছে? তদন্ত করে দেখছে হাড়োয়া থানার পুলিশ।