Shyamnagar news: স্বাধীনতা দিবসে ড্রাম বাজানো নিয়ে আপত্তি, স্কুল শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ পাশের স্কুলের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে
Shyamnagar: ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার শোরগোল পড়ে গিয়েছে শ্যামনগরের রাউতা এলাকায়। স্থানীয়রাই আহত শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।
শ্যামনগর : স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে এদিন সকাল থেকেই জেলায় জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পতাকা উত্তোলন হয়েছে। শোভাযাত্রা হয়েছে। ঠিক তেমনই পতাকা উত্তোলনের আয়োজন করা হয়েছিল শ্যামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পতাকা উত্তোলনের সময় ছিল ড্রাম বাজানোর ব্যবস্থাও। আর এই ড্রাম বাজানোকে কেন্দ্র করেই বিপত্তি। শ্যামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রানা চৌধুরীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল পাশেরই অন্য একটি স্কুলের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার শোরগোল পড়ে গিয়েছে শ্যামনগরের রাউতা এলাকায়। মারধরের পর স্থানীয়রাই আহত শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।
শ্যামনগর প্রাথমিক স্কুলের পাশেই রয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ হাই স্কুল। সেই স্কুলের পরিচালন সমিতির প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন সঞ্জয় ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। পাশাপাশি এলাকায় তৃণমূলের নেতাও তিনি। অভিযোগ, শ্যামনগর প্রাথমিক স্কুলে পতাকা উত্তোলনের সময় ড্রাম বাজানোকে কেন্দ্র করে অশান্তি শুরু হয়। ওই প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক রানা চৌধুরীকে মাটিতে ফেলে মারধরের অভিযোগ ওঠে সঞ্জয় ঘোষ এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের কেউ কেউ লুকিয়ে সেই ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দিও করেছেন। এদিকে ওই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেন না অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতার।
তবে এই বিষয়টি নিয়ে শ্যামনগরের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি স্বপন মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “পতাকা তোলা নিয়ে দুই স্কুলের ঝামেলায় তৃণমূলের নেতার হাতে মার খেয়েছেন। এটা নিন্দনীয়। দলের উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।” এদিকে স্বাধীনতা দিবসের এই অনভিপ্রেত ঘটনা প্রসঙ্গে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক যদুমোহন সরকার বলেন, “এই ধরনের অত্যাচার কিছুতেই সহ্য করা যাবে না। ওকে শাস্তি দেওয়া দরকার। স্কুলে ঢুকে ছাত্রদের সামনে একজন শিক্ষককে মারা, এটা যে কত বড় অপরাধ… তা বলার জায়গা নেই।” স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় এমন ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে।