গ্রামের বাড়িতে বসেই দিল্লিনিবাসীকে ফোন ‘ব্যাঙ্ক ম্যানেজাররের’! পরের ঘটনা পুরো সিনেমার গল্প

Fraud Case: চলতি বছরের জুলাই মাসে দিল্লি নিবাসী এক ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোনে ভুয়ো ব্যাঙ্ক আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে বলা হয়, তাঁর এটিএম কার্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

গ্রামের বাড়িতে বসেই দিল্লিনিবাসীকে ফোন 'ব্যাঙ্ক ম্যানেজাররের'! পরের ঘটনা পুরো সিনেমার গল্প
ব্যাঙ্ক প্রতারণায় গ্রেফতার অভিযুক্ত (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 10, 2021 | 1:46 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: এটিএমের ওটিপি হাতিয়ে আর্থিক প্রতারণার (Bank Fraud Case) অভিযোগে গ্রেফতার প্রতারক। দিল্লির এটিএম জালিয়াতির এক চাঁইকে ধরা হয়েছে এ রাজ্যের বাদুড়িয়া থেকে। ধৃতের নাম নাদিম মণ্ডল। বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া থানার তিলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।

চলতি বছরের জুলাই মাসে দিল্লি নিবাসী এক ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোনে ভুয়ো ব্যাঙ্ক আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে বলা হয়, তাঁর এটিএম কার্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কার্ড নতুন করে নথিভূক্ত করতে হবে বলে, তাঁর কাছে এটিএম নম্বার চেয়ে নেওয়া হয়। ওই ব্যক্তির ফোনে আসা ওটিপি জানতে চাওয়া হয়। ওটিপি জেনে নিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে এর পিছনে রয়েছে নাদিমের হাত। দিল্লি পুলিশের কাছে এই নিয়ে একটা অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তি। দিল্লি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। নাদিমের নাম উঠে এলে পুরো বিষয়টা রাজ্য পুলিশকে জানানো হয়।

পুলিশ এরপর ওই যুবকের বাড়ি বাদুড়িয়া থানা এলাকায় অভিযান চালায়। দিল্লি পুলিশের একটি দল বাদুড়িয়া থানায় আসে। শুক্রবার ভোররাতে প্রতারক নাদিম মন্ডলকে তিলডাঙ্গা গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত প্রতারককে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হচ্ছে। তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিচারকের কাছে পুলিশ হেফাজত চেয়েছে দিল্লি পুলিশ।

প্রসঙ্গত, ক’দিন আগেই প্রতারণার অভিযোগে বসিরহাটের ধলতিথা থেকে চন্দন মাইতি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে হরিয়ানা ও বসিরহাট থানার পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৭৫ হাজার টাকা ও ৬০০ গ্রাম সোনা।

হরিয়ানার বিলাসপুরে কর্মরত ব্যবসায়ী সমরেশ বেড়ার বাড়িতে কাজ করতেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা চন্দন মাইতি। পশ্চিম মেদিনীপুরে মালিক ও কর্মচারী একই জায়গায় থাকার সুবাদে দীর্ঘদিনের পরিচয় ছিল। সেই সূত্রে বিলাসপুরেও কাজ করতে যান চন্দন মাইতি। ওই ব্যবসায়ীর বিলাসপুরে বাড়ি ও দোকান ছিল।

আচমকাইল সমরেশের বাড়ি থেকে খোওয়া যায় ৭৫ লক্ষ টাকা। উধাও হয়ে যায় ৬০০ গ্রাম সোনাও।  থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সমরেশ। তদন্তে নামে পুলিশ। উঠে আসে চন্দনেরই নাম। দেখা যায়, চন্দন বসিরহাটের ধলতিথায় নাম ও পরিচয় গোপন করে রয়েছেন।

বিলাসপুর থানায় অভিযোগ করেছিলেন সমরেশ। অভিযোগের ভিত্তিতে চন্দন মাইতির ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র‍্যাক করে হরিয়ানা পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত বসিরহাটে আশ্রয় নিয়েছেন। হরিয়ানা পুলিশ এই বিষয়ে বসিরহাট পুলিশকে বিস্তারিত জানায়। তারপরই গ্রেফতার করা হয় চন্দনকে। ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন: কীভাবে কুকুরের বেল্ট দিয়ে স্ত্রীকে খুন করেন বিপ্লব? ঘটনার পুনর্নিমাণে ধৃতের ফ্ল্যাটেই গোয়েন্দারা

আরও পড়ুন: তৃণমূলের সালিশি সভায় বিজেপি কর্মীকে জমি লিখে দেওয়ার নিদান, না মানায় ভয়ঙ্কর ‘খেসারত’!