Biswajit Das: তৃণমূল না বিজেপি? প্রশ্ন করতেই বিধায়কের উত্তর, ‘জনপ্রতিনিধিদের কোনও দল হয় না’
North 24 Pargana: বস্তুত, বিশ্বজিৎ অতীতে তৃণমূল বিধায়ক থাকলেও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হন।
উত্তর ২৪ পরগনা: সপ্তাহের প্রথম দিন অর্থাৎ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায় তাঁকে। জেলার সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি দলেরও সভাপতি বদল করেন তিনি। এর মধ্যে আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়ায় উত্তর ২৪ পরগনা। কারণ বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয় বিশ্বজিৎ দাসকে। এ দিকে, বিশ্বজিৎবাবু আবার বিজেপি বিধায়ক। ফলত তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।
এই বিষয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে এক প্রকার এড়িয়ে গিয়ে বিশ্বজিৎ উত্তর দেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের কোনও দল হয় না।’ পাশাপাশি নিজেকে ‘তৃণমূলেরই লোক’ বলেও দাবি করেন। বস্তুত, বিশ্বজিৎ অতীতে তৃণমূল বিধায়ক থাকলেও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হন। কিন্তু তারপর ফের ঘরওয়াপসি হয় তাঁর। গত কয়েক মাসে তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু বিধানসভায় দলত্যাগের প্রসঙ্গ উঠলেই নিজেকে বিজেপি বিধায়ক বলে দাবি করেন তিনি।
তবে মঙ্গলবার দেখা গেল উল্টো চিত্র। এ দিন বিকেল নাগাদ বারাসতে এসে তিনি বলেন, ‘জনপ্রতিনিধির কোনও দল হয় না। জনপ্রতিনিধিদের সার্টিফিকেট থাকে, সেখানে বিধায়কের সার্টিফিকেটে লেখা থাকে না বাম, তৃণমূল, না বিজেপি।’ তাঁর আরও দাবি, ‘বাম, তৃণমূল, বিজেপি সবার মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম নরেন্দ্র মোদী। সেই জায়গা দাঁড়িয়ে যাঁরা জনপ্রতিনিধি, তাঁরা সকলের।’ এরপর বিজেপি বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও তৃণমূলের সভাপতি হওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘তৃণমূলের সভাপতি হলাম কারণ আমি তৃণমূলেরই।’
যদিও, বিষয়টি নজর এড়ায়নি বিরোধীদের। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘বিজেপির বিধায়ককে তৃণমূলের সভাপতি করে দিল্লিতে ভোট দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ তাঁর পাল্টা যদিও বিশ্বজিৎ বলেছেন, ‘ ‘সিপিএম-কে দূরবীন দিয়েও দেখা যাচ্ছে না। ৩৪ বছরের একটা দল যাকে দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হচ্ছে। ওদের একজন বিধায়ক পর্যন্ত নেই। তাই সেই দল কী প্রশ্ন করল তা নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই।’