Arjun Singh: কিছু হলে ‘দায়’ থাকবে কেন্দ্রের, নিরাপত্তা তুলে নেওয়ায় হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি অর্জুনের
Arjun Singh: কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে বেজায় চটে রয়েছেন সাংসদ অর্জুন সিং। সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে অর্জুন বলেন, "আমি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব। কীভাবে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা প্রাপ্ত একজন জনপ্রতিনিধির নিরাপত্তা কেন্দ্রীয় সরকার তুলে নেয়?"
ব্যারাকপুর : পাট নিয়ে দীর্ঘ জলঘোলা হওয়ার পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে এসেছেন অর্জুন সিং। বিজেপি সাংসদ থাকাকালীন তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পেয়ে আসছিলেন। জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেয়ে আসছিলেন তিনি। কিন্তু বুধবার সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। উল্লেখ্য, সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ির আশপাশের এলাকায় একাধিকবার বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এমনকী সাংসদের উপরেও আক্রমণের অভিযোগ উঠছিল। সেই পরিস্থিতির মধ্যে সাংসদ অর্জুন সিংকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে অর্জুন সিং বিজেপি ত্যাগের কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর জেড ক্যাটেগরির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে বেজায় চটে রয়েছেন সাংসদ অর্জুন সিং। সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে অর্জুন বলেন, “আমি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব। কীভাবে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা প্রাপ্ত একজন জনপ্রতিনিধির নিরাপত্তা কেন্দ্রীয় সরকার তুলে নেয়?” তবে রাজ্য সরকার তাঁর জন্য কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে কি না, সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানেন না সাংসদ। কিন্তু কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নেওয়ায় যদি অঘটন ঘটে, তার জবাবদিহি কেন্দ্রকেই করতে হবে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন অর্জুন সিং। বলেন, “নিরাপত্তার জবাব দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। আমি তো চলাফেরা করবই। আমি তো জনপ্রতিনিধি। আমার তো মানুষের কাছে দায়বদ্ধতা আছে।”
তবে বিষয়টির পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে, এমন সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন বা সাংসদ। তাঁর বক্তব্য, “হতে পারে, আমি ওই দলে নেই সেই জন্য তুলে নিচ্ছে।” প্রশ্ন তোলেন, “গতকাল পর্যন্ত আমি জেড ক্যাটেগরি নিরাপত্তা প্রাপ্ত জনপ্রতিনিধি ছিলাম। আজ তা তুলে নেওয়া হল। এটা কীভাবে সম্ভব?” একই সঙ্গে প্রাণহানির আশঙ্কাও করছেন তিনি। বলেন, “আমায় খুন করে দিতে পারে। হতেই পারে। মানুষের কাজ করার জন্য যদি মৃত্যুবরণ করতে হয়, তাই করব।” একইসঙ্গে কিছু ঘটে গেলে, তার জন্য কেন্দ্রই যে দায়বদ্ধ থাকবে সেই কথাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে সিধু মুসেওয়ালার প্রসঙ্গও টেনে আনেন অর্জুন। বলেন, “এই যে পঞ্জাবে একজনকে খুন করা হল। নিরাপত্তা তুলে নিল, তিন দিন পর তাঁকে মেরে ফেলা হল।”