Halisahar: হোটেলের রুম নম্বর ১০৫! প্রেমিকাকে মেরে থানায় গিয়েছিল প্রেমিক, ৬ দিনের মাথায় বন্ধ ঘরেই অলৌকিক ঘটনায় সন্ধিহান পুলিশও

Halisahar: তারপর ওই হোটেল থেকে যুবতীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে হোটেলের ওই রুম থেকে নমুনা সংগ্রহ করার পর সিল করে দেয়।

Halisahar: হোটেলের রুম নম্বর ১০৫! প্রেমিকাকে মেরে থানায় গিয়েছিল প্রেমিক, ৬ দিনের মাথায় বন্ধ ঘরেই অলৌকিক ঘটনায় সন্ধিহান পুলিশও
হালিশহরের হোটেলে ভয়ঙ্কর ঘটনা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 01, 2023 | 10:53 AM

হালিশহর: হোটেলের ওই রুম থেকেই উদ্ধার হয়েছিল এক যুবতীর ঝুলন্ত দেহ। খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন তাঁরই প্রেমিক। চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারির ঘটনা। পুলিশ ওই রুমটিকে সিলও করে দিয়েছিল। আর তার ঠিক ৬ দিন পরেই হোটেলের ওই রুমেই ধরে গেল ভয়াবহ আগুন। হালিশহরের (Halisahar) এই ঘটনাকে ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। দমকলের দুটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন (Fire) লাগার কারণ নিয়ে হোটেল মালিকের যা বক্তব্য, তা নিয়ে সন্ধিহান পুলিশ। পুলিশ ঘর থেকে পুড়ে যাওয়া জিনিসের নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক টেস্টের জন্য পাঠাচ্ছে। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

জানা যাচ্ছে, হালিশহরের জেঠিয়ায় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ওই হোটেলের ১০৫ নম্বর ঘরে ২৪ জানুয়ারি কোচবিহারের এক যুবক যুবতী গিয়ে ওঠেন। হোটেল কর্মীদের বক্তব্য অনুযায়ী, ২৫ জানুয়ারি ওই যুবক সকালে একাই ঘর থেকে বেরিয়ে যান। তার কিছুক্ষণ পর তাঁরা দেখেন পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে আসেন তিনি। ওই ঘরের দরজা খুলতেই হতবাক হয়ে যান কর্মী ও কর্তৃপক্ষ। ঘরে যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রেমিকাকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ওই যুবক। তারপর ওই হোটেল থেকে যুবতীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে হোটেলের ওই রুম থেকে নমুনা সংগ্রহ করার পর সিল করে দেয়।

এই মামলাটি এখন বিচারাধীন। হোটেল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে আচমকাই ওই রুম থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। প্রাথমিকভাবে হোটেল কর্মীরাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরে খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলে গিয়ে ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

দমকল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই হোটেলে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ছিল না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, একটি সিল করে দেওয়া ঘরে কীভাবে আগুন লাগল। হোটেল মালিক নুর আলমের বক্তব্য, ঘটনার পর থেকেই ওই রুমে ফ্যান, লাইট, গিজার চলছিল। তাঁর কথায়, “২৫-৩১ তারিখ পর্যন্ত এক টানা ঘরে লাইট-পাখা চলছিল। তা থেকেই শর্টসার্কিট। দুটো ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই ফ্লোরটাই পুরো বন্ধ ছিল। কেউ ছিলই না সেখানে।”

পুলিশ ধন্দে পড়েছে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে। জেঠিয়া থানার পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় ফরেন্সিক তদন্তের জন্য নমুনা পাঠাচ্ছে। শীতকালে কেন ফ্যান চলবে, সেটাই প্রশ্ন।

ফায়ার অফিসার প্রশান্ত সরকার বলেন, “হোটেলে কোনও অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। এই বিষয়টাও গুরুত্বপূর্ণ।” গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।