Bagda news: মিলছে না ১০০ দিনের কাজের টাকা, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে ঘিরে বিক্ষোভ
Bagda: বৃহস্পতিবার তিন সদস্যের এক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পৌঁছে গিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রনঘাট পঞ্চায়েতের আউলডাঙ্গা গ্রামে। সেখানে একশো দিনের কাজ কীরকম এগোচ্ছে, কতটা কাজ হয়েছে, সেই সব সরেজমিনে খতিয়ে দেখছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
বাগদা : একশো দিনের কাজে টাকা না পাওয়ার অভিযোগ এর আগেও একাধিকবার উঠেছে রাজ্যে। বিভিন্ন জেলা থেকে এমন অভিযোগের কথা শোনা গিয়েছে। এবার সেই অভিযোগ আরও একবার উঠল উত্তর ২৪ পরগনার রনঘাট পঞ্চায়েতের আউলডাঙা গ্রাম। অভিযোগ, একশো দিনের কাজের জন্য টাকা পাচ্ছেন না তাঁরা। এই নিয়েই এবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে ঘিরে অভিযোগ জানালেন এলাকার ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। সেই সঙ্গে দেখা গেল, গ্রামবাসীদের সঙ্গে তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়লেন বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়ও।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার তিন সদস্যের এক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পৌঁছে গিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রনঘাট পঞ্চায়েতের আউলডাঙ্গা গ্রামে। সেখানে একশো দিনের কাজ কীরকম এগোচ্ছে, কতটা কাজ হয়েছে, সেই সব সরেজমিনে খতিয়ে দেখছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। গ্রাম থেকে ফেরার সময় তাঁদের ঘিরে ধরেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। নিজেদের জমিয়ে রাখা একরাশ অভিযোগ এদিন উগরে দেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা একশো দিনের কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ হাতে টাকা পাচ্ছেন না। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের জবকার্ডে টাকা ঢুকলেও সেই টাকা হাতে আসছে না। অভিযোগ, পঞ্চায়েতের সদস্যরা সেই টাকা অন্যদের ভাগ করে দিচ্ছেন। এদিকে স্থানীয় সুপারভাইজ়ার যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের কাছে গেলে বলা হচ্ছে, টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। গ্রামবাসীদের থেকে তাঁদের এই ক্ষোভের কথা মন দিয়ে শোনেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের তাঁরা আশ্বাস দিয়ে যান, একশো দিনের কাজের টাকা তাঁরা পাবেন।
যদিও বিষয়টি নিয়ে গোপা রায় জানিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার যে তিন বছর ধরে টাকা দিচ্ছে না। আমরা ওদের জোর করে করে মাঠে নামাতাম। বলত, আমাদের টাকা দেয় না। আমরা কাজ করব কী করে? এখানে বিজেপির এক পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের শিকার হল সাধারণ মানুষ। ওদের ব্যবহার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার কি আমাদের টাকা দিচ্ছে? তাহলে আমরা কীভাবে টাকা দেব? আর টাকা প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ঢোকে। সেখান থেকে টাকা নেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।”
এদিকে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের বক্তব্য, “কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল অডিট করলে, তৃণমূলের পুকুর চুরি, মাটি কাটার টাকার চুরি প্রকাশ পেয়ে যাবে। সেই কারণেই বদনাম বিজেপির ঘাড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এর সঙ্গে বিজেপি কোনওভাবেই জড়িত নয়।”