‘ব্যথা হলে গা হাত-পা টিপে দেব’, সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীর ‘অশ্লীলতার’ শিকার কোভিড রোগী!

Molestation Case: নির্যাতিতার অভিযোগ, গত শনিবার  করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সোমবার রাতে, অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী রাজীব খান ওয়ার্ডে এসে তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন বলে অভিযোগ।

'ব্যথা হলে গা হাত-পা টিপে দেব', সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীর 'অশ্লীলতার' শিকার কোভিড রোগী!
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 07, 2021 | 12:48 AM

উত্তর ২৪ পরগনা: করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মহিলা। ভাবেননি এমন দুর্দিনও দেখতে হবে! গত ৩জুলাই, খড়দহের বলরাম স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন মহিলা। সেখানেই চলছিল চিকিৎসা। মঙ্গলবার, হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে অশ্লীল আচরণের (Molestation Case) অভিযোগ করলেন ওই কোভিড আক্রান্ত রোগিণী।

নির্যাতিতার অভিযোগ, গত শনিবার  করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সোমবার রাতে, অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী রাজীব খান ওয়ার্ডে এসে তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ (Molestation Case) করেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার নিজের পরিবারকে সেই কথা জানান নির্যাতিতা। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই রোগিণীর পরিবার। থানাতেও অভিযোগ দায়ের করতে যান তাঁরা। কিন্তু হাসপাতালের তরফে অভিযোগ কবুল করে জানানো হয়, ঘটনায় শীঘ্রই দোষীকে শাস্তি দেওয়া হবে। এরপরেই পালিয়ে যান অভিযুক্ত রাজীব খান। তবে প্রায় একদিন কেটে গেলেও হাসপাতালের তরফে নতুন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে রোগিণীর পরিবারের অভিযোগ।

নির্যাতিতার স্বামীর কথায়, “বেড না পেয়ে আমার বউকে এখানে এনে ভর্তি করি। কী করে বুঝব এমনটা ঘটবে।  হাসপাতালেই যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে অন্যত্র কী হবে! সুপার বলছেন তাঁরা পদক্ষেপ করবেন। থানায় যেতে বারণ করছেন। বলছেন দোষীকে শাস্তি দেবেন। আমরাও সেটাই চাই। তাই কিছুটা সময় দিয়েছি।”

নির্যাতিতার দেওর বলেন, “বৌদিকে আমরা শনিবার এখানে ভর্তি করি। সরকারি হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটবে ভাবা যায় না। বৌদির কথায়, সোমবার রাতে ওই স্বাস্থ্য়কর্মী ওয়ার্ডে এসে প্রথমে বৌদিকে জিজ্ঞেস করে জ্বর আছে কি না। তারপর গায়ে হাত দিয়ে জ্বর মাপে। বৌদি বারণ করলে শোনেনি। পাল্টা বলেছে, ‘গায়ে হাত পায়ে ব্যথা আছে, তাহলে টিপে দেব’। এসব অনেক নোংরা কথা বলে। ভুলভাল আচরণ করে। বৌদি বাধা দিলেও শোনেনি। তারপর ফোন নম্বর চায় লোকটা, জানায় নম্বর পেলে চলে যাবে। ভয়ে বৌদি নম্বরও দিয়ে দেয়। তারপর বৌদিকে দু-তিনবার ভিডিয়ো কল করার চেষ্টা করে। এসবের পরেই আমাদের সব খুলে বলে বৌদি। সঙ্গে সঙ্গে আমরা হাসপাতাল সুপারকে জানিয়েছি। হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছে ব্যাপারটা দেখা হচ্ছে। দেখা যাক, আশা করি ব্যবস্থা হবে।” যদিও হাসপাতালের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

ঘটনায়, যুব তৃণমূল সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরী বলেন, “এই ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও নিন্দনীয়। সরকারি হাসপাতালে এই আচরণ মানা যায় না। যদি সত্যিই এমন হয়ে থাকে, তবে দোষীর কঠিনতম শাস্তি হোক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আমার এটুকুই আবেদন, দোষীকে আড়াল করবেন না। তাকে চরম শাস্তি দিন।”

আরও পড়ুন: Malda Murder: শেষ মুহূর্তে ছেলের হাত থেকে বাঁচতে চেয়েছিলেন আসিফের মা-বাবা? নয়া তথ্য পোস্টমর্টেমে