Panihati : দুর্ঘটনার জের, বন্ধ পানিহাটির দণ্ড মহোৎসবের মেলা

Panihati : করোনার জেরে দণ্ড মহোৎসব দু'বছর বন্ধ ছিল। এ বছর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় মেলার আয়োজন করা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই ভিড় বেশি হয়েছিল। উত্তর ২৪ পরগনার পাশাপাশি একাধিক জেলা থেকে পুণ্যার্থীরা ভিড় করেছিলেন মহোৎসবে।

Panihati : দুর্ঘটনার জের, বন্ধ পানিহাটির দণ্ড মহোৎসবের মেলা
সাতদিনের মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 13, 2022 | 1:53 PM

পানিহাটি : অতিরিক্ত ভিড়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্য হয়েছে তিন পুণ্যার্থীর। তারপরই আজ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হল পানিহাটি দণ্ড মহোৎসবের (Danda Mahotsav) মেলা। পানিহাটির দণ্ড মহোৎসবের মেলা সাতদিন ধরে হয়। ফের কোনও দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে মেলা কমিটি ও প্রশাসন জানিয়েছে।

গতকাল পানিহাটিতে দণ্ড মহোৎসবে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় তিন জনের। হাসপাতালে ভর্তি করতে বেশ কয়েকজনকে। স্থানীয়রা বলছেন, করোনার জেরে দণ্ড মহোৎসব দু’বছর বন্ধ ছিল। এ বছর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় মেলার আয়োজন করা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই ভিড় বেশি হয়েছিল। উত্তর ২৪ পরগনার পাশাপাশি একাধিক জেলা থেকে পুণ্যার্থীরা ভিড় করেছিলেন মহোৎসবে। তার জেরেই ঘটে দুর্ঘটনা।

দণ্ড মহোৎসবের পরদিন থেকে সাতদিন মেলা হয় এখানে। গতকালের দুর্ঘটনার পর মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেলা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসন। মেলা বন্ধ রাখার কারণ ব্যাখ্যা করে পানিহাটির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর ভট্টাচার্য বলেন, মেলা না বন্ধ করলে এই সাতদিনও অস্বাভাবিক ভিড় হত। এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকালের দুর্ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, “গতকালের ঘটনাটি দুঃখজনক। অন্যবার দুপুর ১২টার পর ভিড় বাড়ে। এবার সকাল থেকে বিশাল ভিড় হয়। পুলিশ-প্রশাসন ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য ছিল। কিন্তু, এত ভিড় হয় যে তা সামাল দেওয়া যায়নি।” স্থানীয়রা বলছেন, পানিহাটির দণ্ড মহোৎসব ৫০০ বছরের বেশি পুরনো। প্রতি বছরই উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। কিন্তু এমন অভিজ্ঞতা কখনওই হয়নি।

এদিকে মেলা বন্ধ হলেও আজও মন্দিরে পুজো দিতে আসছেন ভক্তরা। কালকের ঘটনার পর যাঁরা পুজো দিতে পারেননি,তাঁরা আজ অনেকেই পুজো দিতে আসছেন। তবে গতকালের সেই ভয়াবহ দৃশ্য অনেকের চোখের সামনে ভাসছে।

দণ্ড মহোৎসবের ভিড়ে ছিনতাইকারীরাও মিশেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ঋর্ণা দাস নামে এক মহিলা বলেন, ভিড়ের মধ্যে ছিনতাইকারীরাও ছিল। গতকাল তাঁর হার ও মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে গিয়েছে। তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

গতকালের দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।