Suicide: তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য ভাটপাড়ায়, প্রেমিকের নির্যাতনেই আত্মহত্যা?

Suicide: দরজা ভাঙতেই চমকে ওঠেন সকলে। দেখেন সিলিং থেকে ঝুলছে ঘরের মেয়ের মৃতদেহ। খবর যায় জগদ্দল থানায়।

Suicide: তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য ভাটপাড়ায়, প্রেমিকের নির্যাতনেই আত্মহত্যা?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 15, 2022 | 11:34 PM

ভাটপাড়া: তরুণীর আত্মহত্যাকে (Suicide) কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ভাটপাড়ায় (Bhatapara)। শুক্রবার ভাটপাড়া পৌরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ড শ্যামনগর দিপালী সংঘের মাঠ সংলগ্ন এলাকায় অদিতি চক্রবর্তীর(১৯) নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ (Police)। যা নিয়েই বাড়ছে তীব্র চাপানউতর তৈরি হয় এলাকায়। মৃত তরুণীর স্নাতকের প্রথম বর্ষের ভর্তি হওয়ার কথা ছিল।সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে অনেক ডাকাডাকি করলেও ঘরের খোলেনি ওই তরুণী। তাতেই সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। অবশেষে দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়েই দরজা ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। 

দরজা ভাঙতেই চমকে ওঠেন সকলে। দেখেন সিলিং থেকে ঝুলছে ঘরের মেয়ের মৃতদেহ। খবর যায় জগদ্দল থানায়। ছুটে আসে জগদ্দল থানার পুলিশ। খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। কৌতূহলী জনতার ভিড় বাড়তে থাকে থাকে মৃতার বাড়িতে। যদিও তখন পরিষ্কার হয়নি কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন ওই তরুণী। তবে, পরিবারের সদস্যদের অনুমান, অবসাদের কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই তরুণী। উঠে আসে মৃতার প্রেমের সম্পর্কের কথা। 

দ্রুত ঘটনার তদন্তও শুরু করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তরুণীর। কিন্তু, ওই সম্পর্কে সুখী ছিল না তরুণী। তাঁকে মানসিকভাবে নির্যাতন করত তাঁর প্রেমিক। সে কারণেই মানসিক অবসাদেও ভুগতেন ওই তরুণী। সেই অবসাদের জেরেই তিনি আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত প্রেমিককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।  অন্যদিকে তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্যারাকপুর পুলিশ মর্গে পাঠানো পাঠিয়েছে জগদ্দল থানার পুলিশ। তরুণীর অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে গোটা পরিবারে। ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতার মা বলেন, “স্নান করল, ভাত খেল, ঘুমাতেও গেল। কিন্তু তারপর ওর একটা ছেলে বন্ধু ফোনে ওকে ডেকে পাঠায়। তখন ও বলে না আমি যাব না। আমার শরীর ভাল নয়। কিন্তু, তারপরেও ছেলেটি জোর করে। ততক্ষণে মেয়ে ঘরে চলে গিয়েছে। অনেক ডাকাডাকির পরেও দরজা খোলেনি। পরে ওই ছেলে বন্ধুটি এসে ডাকাডাকি করে। শেষে দরজা ভাঙতেই দেখি এই কাণ্ড। আমার মেয়ে ভীষণ চাপা স্বভাবের ছিল। কাউকে কিছু বলত না। কলেজে ভর্তির কথা ছিল। তারমধ্যেই এ কাজ করে ফেলল। আমার মেয়ে এরকম ছিল না। কিন্তু, কী কারণে এ কাজ করল বুঝতে পারছি না। আমার ওই ছেলে বন্ধুটির উপরেই সন্দেহ হয়। ”