শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে খুন ও অ্যাসিড হামলার হুমকির অভিযোগ মমতার

"তোমাকে ও তোমার মাকে খুন করে দেব। অ্যাসিড ছুড়ে মারব মুখে। পরের দিন সূর্যের আলো দেখতে পাবে না।'' শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur)-এর বিরুদ্ধে এমনই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ।

শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে খুন ও অ্যাসিড হামলার হুমকির অভিযোগ মমতার
Follow Us:
| Updated on: Apr 07, 2021 | 7:51 PM

বনগাঁ:ফের ঠাকুর পরিবারের বিবাদ প্রকাশ্যে। এবার বিজেপি সাংসদ তথা ঠাকুর পরিবারের ছোট কর্তা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের ছোট ছেলে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে খুন ও অ্যাসিড হামলার হুমকি দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা। সম্পর্কে শান্তনু ঠাকুরের জেঠিমা মমতাবালা ও তাঁর মেয়ে দাবি করেছেন, নিজেদের বাড়ির মধ্যেই তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন!

বনগাঁ লোকসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুরের অভিযোগ, বনগাঁর বর্তমান সাংসদ শান্তনু ঠাকুর মঙ্গলবার তাঁকে খুন ও অ্যাসিড হামলার হুমকি দেন। এই মর্মে গত ৬ এপ্রিল গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

এদিন গাইঘাটা থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, শান্তনু ঠাকুর সোমবার রাত আটটা নাগাদ তাঁদের বাড়িতে ঢুকে শাসান। পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠক করেও শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শান্তনুর বাবা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের বিরুদ্ধেও মুখ খোলেন তিনি।

থানায় দেওয়া অভিযোগপত্রে মধুপর্ণা জানিয়েছেন, সোমবার রাত আটটা নাগাদ তাঁদের শাসান শান্তনু। তিনি লিখেছেন, মঙ্গলবার রাতে তাঁদের শান্তনু ঠাকুর শাসান, “তোমাকে ও তোমার মাকে খুন করে দেব। অ্যাসিড ছুড়ে মারব মুখে। পরের দিন সূর্যের আলো দেখতে পাবে না।” পাশাপাশি মধুপর্ণা দেবীর বিস্ফোরক দাবি, ইতিমধ্যে তাঁর মাকে খুনের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, ঠাকুরবাড়ির মধ্যে আর সম্মান নিয়ে থাকতে পারছেন না তাঁরা। ঠাকুরনগরের বাড়ি থেকে তাঁদের বের করে দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর। এই অবস্থায় পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছেন মধুপর্ণা দেবী।

এ নিয়ে শান্তনুর জেঠিমা মমতাবালার অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই শান্তনু ঠাকুর তাঁদের ওপর মানসিক অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছেন। একজন বিধবা মহিলার ওপর অত্যাচারের বিচার চান তিনি বলে জানান প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ।

আরও পড়ুন: জোটের ফাটল স্পষ্ট, কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই প্রার্থী দিল বামফ্রন্টের শরিকদল

যদিও তাঁদের অভিযোগ একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। শান্তনু ঠাকুরের কথায় “যে গাছ মাটি থেকে উপড়ে গিয়েছে, সেই গাছের আর ফল ফলবে না। সেই গাছ লাগিয়েও আর কোনও লাভ নেই।” তাঁর আরও দাবি, মানুষের সহানুভূতি কুড়নোর জন্য এখন এই পন্থা নিয়েছেন মমতাবালা ঠাকুর।