Sodepur: দোকান করেই চলে পেট, সেইটাই উঠিয়ে দেওয়ার ‘ধান্দায়’ ছিল প্রোমোটার, দলবল নিয়ে এসে ভোলাকে মারতেই রুখে দাঁড়ালেন প্রতিবেশীরা

Ananta Chattopadhyay | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Sep 29, 2024 | 1:24 PM

North 24 Pargana: এরপর রবিবার সকালে প্রোমোটার তার দলবল নিয়ে গিয়ে সেই দোকান জোরজবস্তি উচ্ছেদ করতে যায়। সেই সময় দোকানদার ভোলা মজুমদার বাধা দিলে তাঁকে দোকানে ঢুকে মারধর ও ধাক্কাধাক্কি করে বলে অভিযোগ ওঠে।

Sodepur: দোকান করেই চলে পেট, সেইটাই উঠিয়ে দেওয়ার ধান্দায় ছিল প্রোমোটার, দলবল নিয়ে এসে ভোলাকে মারতেই রুখে দাঁড়ালেন প্রতিবেশীরা
পানিহাটিতে উত্তেজনা
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

পানিহাটি: ফের প্রোমোটার রাজ উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে। দোকানের ভিতর ঢুকে দোকানদারকে হুমকি। প্রতিবাদ করলে দোকানদারকে মারধরেরও অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তি পানিহাটি পৌরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত চণ্ডীতলা মোড় অঞ্চলে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, এই এলাকায় দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ছোট একটি দোকান চালান ভোলা মজুমদার। দোকান চালিয়েই সংসার চালাচ্ছেন তিনি। অভিযোগ, অভিযুক্ত প্রোমোটার অমিত সাহা এসে একদিন ভোলাবাবুকে বলেন যে ইমারতি দ্রব্য রাখবেন তিনি। সেই কারণে দোকান ছাড়তে হবে ভোলাকে। তার পরিবর্তে অন্য একটি জায়গায় দোকান বানিয়ে দেবেন। তবে দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও দোকান বানিয়ে দেননি অমিত সাহা। ফলে ভোলাবাবু বুঝতে পারেননি তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপরই তিনি ফের নিজের জায়গায় দোকান বানানোর প্রস্তুতি শুরু করেন।

এরপর রবিবার সকালে প্রোমোটার তার দলবল নিয়ে গিয়ে সেই দোকান জোরজবস্তি উচ্ছেদ করতে যায়। সেই সময় দোকানদার ভোলা মজুমদার বাধা দিলে তাঁকে দোকানে ঢুকে মারধর ও ধাক্কাধাক্কি করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ দিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা একত্রিত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ঘোলা থানার পুলিশ। যদিও, বিষয়টি নিয়ে কোনও রকম মুখ খুলতে চাননি প্রমোটার অমিত।

আক্রান্ত দোকানদার ভোলা মজুমদার বলেন যে, রাত্রিবেলা দু’টো থেকে আড়াইটে নাগাদ আসে ওরা। তারপর মাটি কেটে তা আমার দোকানের সামনে এইভাবে ফেলে রেখেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ভাস্কর চক্রবর্তী বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে এখানে খাওয়া-দাওয়া করছি। খুব চালু দোকান এটা। ফুটেই ব্যবসা করে। এলাকার প্রমোটার অনেকদিন ধরেই এই দোকানটা তোলার প্ল্যান করছিল। প্রথমে বলেছিল পনেরোদিন দোকান বন্ধ রাখবে। তারপর দেখি একমাস হয়ে যাচ্ছে তবু দোকান খোলেনি। এটা তো সরকারি জায়গা। ভোলার দাদা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। ওর দোকান বন্ধ করে দিলে চলবে কী করে? পুজো এসে গেছে। সংসার চলছে না। ও ধীরে ধীরে প্লাস্টিক দিয়ে দোকান বানালো। আজ এসে সেটাও তুলে দেওয়ার ধান্দা করছে।”

Next Article