Suvendu Adhikari: রাজ্যে ক্ষমতায় এসে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির উপর বুলডোজ়ার’, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari: শুভেন্দু অধিকারী বললেন, "পশ্চিমবঙ্গে দেশ বিরোধী শক্তিরা নিজেদের আশ্রয়স্থল করে ফেলেছে। আমরা এখানে রাষ্ট্রবাদী সরকার এনে, যোগী আদিত্যনাথের মতো, হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির উপরে বুলডোজ়ার চালাব।"
ব্য়ারাকপুর : ব্যারাকপুরে এসে ফের একবার রাজ্যের শাসক শিবিরকে তীব্র আক্রমণ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। আগামী দিনে রাজ্যে বিজেপির সরকার গঠিত হলে, তার রূপরেখা কেমন হতে চলেছে, তার একটি আভাস দিয়ে রাখলেন শুভেন্দু। বললেন, “পশ্চিমবঙ্গে দেশ বিরোধী শক্তিরা নিজেদের আশ্রয়স্থল করে ফেলেছে। আমরা এখানে রাষ্ট্রবাদী সরকার এনে, যোগী আদিত্যনাথের মতো, হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির উপরে বুলডোজ়ার চালাব। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি মহল্লা, প্রতিটি পাড়া, প্রতিটি ওয়ার্ডে ভারত মাতার জয় জয়কার হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে।”
প্রসঙ্গত, এর আগে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গে বিজেপি সরকার গঠনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পদ্ম শিবির। ২০০-পার করার হুঙ্কার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একশোর গণ্ডিও পার করতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি। তবে বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে একলাফে বাংলায় অনেকটা শক্তি বাড়িয়ে নিয়েছে পদ্ম শিবির। বাম-কংগ্রেসহীন রাজ্য বিধানসভায় বিজেপি এখন বিরোধী দল। কিছুদিন আগেই অমিত শাহ বাংলায় এসে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের বার্তা দিয়ে গিয়েছেন, অতীত ভুলে আবার নতুন করে শুরুর করার। উল্লেখ্য, এর আগেও শুভেন্দু অধিকারী এই ধরনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যখন সরকার বদল হয়, তখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, “মহারাষ্ট্রে হয়ে গিয়েছে। এবার ঝাড়খণ্ড হয়ে বাংলায় ঢুকে পড়বে।”
নীতি আয়োগের বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে দেওয়া হয়নি বলে যে অভিযোগ উঠে আসছে সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ঠিক করেছে। উনি তো নীতি আয়োগের বিরোধিতা করেন। উনিই তো বলেছেন, গায়ে মাখে না মাথায় দেয় জানা নেই। যাঁরা পরিচালনায় ছিলেন, খুব ভাল কাজ করেছেন।”
তবে শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তাপস রায় পাল্টা বলেন, “অসমে হিমন্ত বিশ্বশর্মার আমলে কী চলছে তা মানুষ দেখছে। উত্তরপ্রদেশে এনকাউন্টার করা হয়েছে। শুভেন্দুর মুখ থেকে এইসব কথা যত বেশি শোনা যাবে ততই ভাল। এইসব কথা শুনে বাংলার মানুষ আতঙ্কে শিউরে উঠছেন। ফলে বিজেপির যেটুকু সমর্থন রয়েছে, সেটুকুও চলে যাবে।”