Taki BSF: টহল দেওয়ার সময়ে স্পিড বোট থেকে পড়ে গেলেন জওয়ান, মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা
Taki BSF: সৈয়দপুর ক্যাম্পের ৮৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একটি দল ইছামতি নদীতে শুক্রবার সকাল রুটিন টহল দেওয়া শুরু করে।
উত্তর ২৪ পরগনা: টাকিতে ইছামতি নদীতে টহল দেওয়ার সময় এক জওয়ানের রহস্যমৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। একটি মতের বক্তব্য, স্পিড বোট থেকে পড়ে জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আদৌ কি তাই? উঠছে একাধিক প্রশ্ন। ঘটনাকে ঘিরে বসিরহাটের হাসনাবাদ থানার টাকি সৈয়দপুর সীমান্ত এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সৈয়দপুর ক্যাম্পের ৮৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একটি দল ইছামতি নদীতে শুক্রবার সকাল রুটিন টহল দেওয়া শুরু করে। সূত্রের খবর, হঠাৎই এক জওয়ান স্পিড বোট থেকে পড়ে যায়। তাঁর নাম নাসিরুদ্দিন আহমেদ। বছর আটত্রিশের ওই জওয়ানের বাড়ি মালদায়।
জল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিএসএফের অন্দরেই।
তবে এই বাহিনীর জওয়ানের মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। বাহিনীর নিজস্ব জলযানে অভ্যস্ত থাকেন প্রত্যেক জওয়ান। আপদকালীন পরিস্থিতিতে স্পিড বোটে টহল দেওয়ায় তাঁরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। কিন্তু কীভাবে তিনি স্পিড বোটে থেকে পড়ে গেলেন ওই জওয়ান?
এইভাবে কোনও জওয়ানের পক্ষে কোনও কারণ ছাড়াই স্পিড থেকে পড়ে যাওয়া সম্ভব? তাহলে কি স্পিডবোটে লাইফ জ্যাকেট ছিল না? তার মৃত্যু নিয়ে এরকম একাধিক প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মৃত জওয়ানের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফের ৮৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের আধিকারিকরা। মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। যদিও বিএসএফের তরফে সরকারি ভাবে এই খবর সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়নি।