Fire Brokeout: বালি বোঝাই চলন্ত লরিতে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন চালক
West Bengal: পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাত্রিবেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে যশোর রোড ধরে মধ্যমগ্রামে যাচ্ছিল বালি বোঝাই দশ চাকার ওই লরিটি।
বেলঘরিয়া: বালি বোঝাই চলন্ত লরিতে দাউ-দাউ করে জ্বলছে আগুন। যশোর রোডের গৌরীপুরের কাছে বালি বোঝাই ওই লরিতে আগুন লাগে বলে খবর। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিমানবন্দর থানার পুলিশ ও ট্রাফিক গার্ড।
পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাত্রিবেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে যশোর রোড ধরে মধ্যমগ্রামে যাচ্ছিল বালি বোঝাই দশ চাকার ওই লরিটি। স্থানীয় সূত্রে খবর, বেপরোয়া গতিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে সেটি।নিমেশের মধ্যে ওই লরিটিতে আগুন লেগে যায়। দাউ-দাউ করে জ্বলতে থাকে।
অদূরে গৌরীপুর ট্রাফিক গার্ড থাকায় দ্রুততার সহিত পুলিশ খবর দেয় দমকলকে। পরপর দু’টি ইঞ্জিন দীর্ঘ ৪৫ মিনিটের থেকে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন লাগার সঠিক কারণ স্পষ্ট নয়। দমকলের প্রাথমিক অনুমান শর্ট-সার্কিট থেকে আগুন লাগলেও লাগতে পারে।
এরফলে বিরাটি যশোর রোড থেকে বারাসত যাওয়ার রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। বালি বোঝাই দশ চাকার লরিটি রাস্তা থেকে সরাতে বেশ কিছু সময় লেগেছে। ফলে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে বেগ পেতে হয়েছে পুলিশকে। লরিটিকে আটক করেছে বিমানবন্দর থানার পুলিশ।
বস্তুত, গত রবিবার দুপুরে শেষবেলার একটি প্লাস্টিকের কারখানায় আগুন ধরে যায়। সেই সময় কাজ সারছিলেন কারখানার শ্রমিকরা। জানা গিয়েছে, দুপুর বেলায় প্লাস্টিকের চেয়ার তৈরির কারখানায় তখন কর্তব্যাস্ততা কার্যত চরমে ছিল। হঠাৎ তীব্র পোড়া গন্ধ থমকে দেয় সেই ব্যস্ততাকে। ততক্ষণে কালো ধোঁয়া ঘিরতে শুরু করেছে গোটা কারখানাকে। এরপর অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি বুঝে উঠতে স্রেফ কয়েক মুহূর্ত সময় নিয়েছিলেন শ্রমিকরা। নচেৎ বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতেই পারত হাওড়ার সালকিয়া স্কুল রোডের এই প্লাস্টিকের চেয়ার তৈরির কারখানাটিতে। এদিকে খবর পেয়ে ততক্ষণে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছিল দমকলের চারটি ইঞ্জিন। যদিও ক্ষয়ক্ষতি আটকানো যায়নি।