BSF: ভোরের আলো-আঁধারিতে মহিলা বিএসএফকে মারধর করে অস্ত্র ছিনতাই করে পালাল দুষ্কৃতীরা
BSF: বসিরহাটের ভারত-বাংলাদেশ ঘোজাডাঙা সীমান্ত থেকে মহিলা বিএসএফ কনস্টেবলের আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি ছিনতাই করে পালাল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে।
বসিরহাট: কী অবস্থা! ভোরের আলো ফোটার আগেই খোদ মহিলা বিএসএফ-এর কাছ থেকে ইন্সাস রাইফেল সহ ২০ রাউন্ড গুলি ছিনতাই করে পালাল দুষ্কৃতীরা। গোটা ঘটনায় আটক বেশ কয়েকজন।
বসিরহাটের ভারত-বাংলাদেশ ঘোজাডাঙা সীমান্ত থেকে মহিলা বিএসএফ কনস্টেবলের আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি ছিনতাই করে পালাল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার ভোররাতে। ১৫৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের মহিলা কনস্টেবল ঘোজাডাঙা খালে সীমান্তে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ, একদল দুষ্কৃতী তাঁকে মারধর করে তাঁর কাছ থেকে ইন্সাস রাইফেল ও কুড়ি রাউন্ড গুলি নিয়ে চম্পট দেয়। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সীমান্ত এলাকায়।
মঙ্গলবার সারাদিন বিএসএফের গতিবিধি এতটাই বেশি ছিল যে সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। বিএসএফ বর্ডারের গেটও বন্ধ করে দেয়। ১৫৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের গতিবিধি ও নজরদারি অন্যদিনের তুলনায় হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় সন্দেহ ছিলই। যদিও এই নিয়ে ঘোজাডাঙা শুল্ক দফতর, ঘোজাডাঙা আমদানি-রফতানির সংস্থা ও সীমান্তের বিএসএফ আধিকারিকরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
১৫৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের আধিকারিকরা বসিরহাট থানার পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে তাঁদের ইন্সাস রাইফেল ও কুড়ি রাউন্ড গুলি ছিনতাই হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন যুবককে আটক করেছে বিএসএফ। তাদেরকে বসিরহাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের যোগসাজশে এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, কয়েকদিন আগে সীমান্ত থেকে পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করল বিএসএফ। পরিত্যক্ত ঘর থেকে সাত কেজি রুপোর গহনা উদ্ধার করল তারা। যদিও, অভিযুক্তদের মধ্যে কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার ভারত-বাংলাদেশ হাকিমপুর সীমান্তের ঘটনা। এলাকার পরিত্যক্ত ঘর থেকে প্রচুর রুপোর গহনা উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, পাচারকারীরা বাংলাদেশে পাচার করতে না পেরে ওই পরিত্যক্ত ঘরে রেখে পালিয়ে যায় বলে খবর। উদ্ধার হওয়া গহনাগুলির বাজার মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। সেগুলি তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে খাওয়া হয়েছে।