Barasat: গাছ পুঁততে ৩ লক্ষ ? স্কুলের ছাদ তৈরিতে আরও বেশি, দুর্নীতির অভিযোগে শাসকদলকেই কাঠগড়ায় তুলছে বিরোধীরা
Barasat: ২০২৩-২০২৪ সালে আর্থিক বছর শুরু হতে চললেও একটি গাছও রোপণ করা হয়নি। কাঠগড়ায় তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত।
বারাসত: মিড-ডে মিল থেকে শুরু করে একাধিক প্রকল্প। শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ আকছাড়া উঠে এসেছে। এবার শুধু অঙ্গনওয়াড়ি নয়, কালিয়ানইগ্রামে প্রশ্নের মুখে ভূমি উন্নয়ন ও গাছ লাগান প্রকল্প। ২০২৩-২০২৪ সালে আর্থিক বছর শুরু হতে চললেও একটি গাছও রোপণ করা হয়নি। কাঠগড়ায় তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত।
কী ঘটেছে?
ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের কালিয়ানই গ্রাম। অভিযোগ, সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা কামাল গাজী নামে এক ব্যক্তির খামারের নামে ২০২১-২২ সালে ৩ লক্ষ ৩ হাজার ৯৩৭ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩-২৪ সালের আর্থিক বছর শুরু হওয়ার সময় চলে এলেও একটি গাছও রোপণ করা হয়নি।
এই বিষয়ে কামাল গাজি বলেন, “আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম এখন লাগাচ্ছ কেন? তখন বললেন না কাজের আগে লাগাতে হয়। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম আমার নামে খরচ বসালেন কী কারণে?জব কার্ডের টাকাগুলো তুলতে হবে। বাড়ির নাম দিতে হয় বলে দিয়েছি।”
বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধিরা।স্কুলের পরিকাঠামো নির্মাণ হোক বা বৃক্ষ রোপণ। দু’টি ঘটনাই তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের দুর্নীতির জ্বলন্ত প্রমাণ বলে দাবি বিরোধীদের। তাঁদের অভিযোগ, গাছ পোঁতার ফলক পড়ে গেল। কাজ কিন্তু শুরু হয়নি। একই সঙ্গে তাদের প্রশ্ন কী এমন গাছ পোঁতা হবে যার জন্য খরচ ৩ লক্ষ টাকা? অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্পে কী এমন ছাদ তৈরি হবে যার জন্য খরচ ১৩ লক্ষ টাকা খরত হয়? এলাকার বিডিও সৌগত পাত্রর দাবি, কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী ফলক আগে দিতে হবে নচেত কাজ শুরু করা যাবে না। গোটা বিষয়টিতে দুর্নীতি হয়েছে বলেই দাবি করেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। অপরদিকে, সিপিএম নেতা শেখ কুতুবুদ্দিন বলেন, “প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যখন অডিট নিতে আসে তখন ওদের কম্পিউটার চুরি হয়ে যায়। পাঁচ বছর অন্তর অন্তর ওদের কম্পিউটার চুরি হয়ে যায়।” এলাকার গ্রাম প্রধান যদিও বলেছেন, বিজেপি-সিপিএম কালিমালিপ্ত করার জন্যই এই কথা বলছে।