Threat call: ‘আপনার মেয়ে আজ বাড়ি ফিরবে না’, একাধিক পরিবারে এল ফোন, ঘুম ছুটেছে অভিভাবকদের
Threat call: নাম, সন্তানের নাম, তাদের স্কুল, সব তথ্যই বলে দিচ্ছেন অভিযুক্ত। কোনও চক্র এর সঙ্গে যুক্ত কি না, জানার চেষ্টা করা হচ্ছে পুলিশ।
দত্তপুকুর : নাম… মেয়ের নাম… মেয়ের স্কুল… গড়গড় করে ফোনের ওপার থেকে যা বলে যাচ্ছেন, তাতে কোনও ভুল নেই। সব শেষে বলা হচ্ছে, ‘আপনার সন্তান বাড়ি ফিরবে না। বাঁচাতে চাইলে টাকা দিন।’ একটা নয়, একাধিক পরিবারে এল এমনই রহস্যজনক ফোন। সন্তান যখন স্কুলে, তখনই অভিভাবকদের কাছে এমন একটি ফোন আসে বলে অভিযোগ। অপহরণের হুমকি ফোনে কার্যত আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের একাধিক পরিবারের। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন একাধিক অভিভাবক। প্রত্যেকেই একই রকম ফোন পেয়েছেন বলে অভিযোগ। সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারবেন কি না, তা ভেবেই উদ্বেগে রয়েছেন অভিভাবকেরা। দত্তপুকুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, একই নম্বর থেকে একাধিক বাড়িতে ফোন আসে। শুক্রবার সকালে ছেলে বা মেয়ে যখন স্কুলে, তখন মায়েদের কাছে সেই ফোন আসে। নির্দিষ্ট জায়গায়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা না দিলে, তাঁদের সন্তানদের মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। ফোন পাওয়ার পরই থানায় অভিযোগ জানান অভিভাবকেরা। থানায় গিয়েই তাঁরা জানতে পারেন, অনেকের সঙ্গেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
বাণী দাস নামে এক মহিলা জানান, ফোন করে প্রথমে তাঁর নাম বলা হয়। তারপর তাঁর মেয়ের নামও বলে দেন অভিযুক্ত। মেয়ের স্কুলের নাম বলার পর তিনি ভেবেছিলেন, টিউশন পড়ানোর জন্য কোনও ফোন এসেছে। কিন্তু ফোনের ওপার থেকে তাঁকে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়, ‘আপনার মেয়ে আজ বাড়ি ফিরবে না।’ এ কথা শুনেই চমকে যান তিনি। স্কুলে সবটা জানানোর পাশাপাশি থানায় যান। পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে পড়ুয়াদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে। আর এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁর দুই সন্তান দুটি আলাদা স্কুলে পড়াশোনা করে। অভিযুক্ত ফোনে সে সব তথ্যও বলে দিয়েছেন তাঁর স্ত্রীকে।
দত্তপুকুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই ফোন নম্বর শনাক্ত করেছে। পুলিশ ভরসা দিলেও ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাবেন কি না তা নিয়ে, চিন্তায় রয়েছে পরিবার। কে বা কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত তা অবশ্য এখনও পরিষ্কার নয়। বারাসতের এসডিপিও-র নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।