বনগাঁয় পদ্ম ভাঙন? দলের সাংগঠনিক বৈঠকে ফের গরহাজির ‘মুকুল ঘনিষ্ঠ’ ৩ বিধায়ক

BJP: শনিবারের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বিজেপির (BJP) বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মন্ডল। সম্প্রতি, তাঁর আচরণের জন্য শোকজ করেছে দল।

বনগাঁয় পদ্ম ভাঙন? দলের সাংগঠনিক বৈঠকে ফের গরহাজির 'মুকুল ঘনিষ্ঠ' ৩ বিধায়ক
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 01, 2021 | 7:00 PM

উত্তর ২৪ পরগনা:  ফের বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে অনুপস্থিত তিন বিধায়ক। বিজেপি (BJP) রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার পর এ বার কেন্দ্রীয় জলশক্তি প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক সভায় গরহাজির বাগদার বিজেপি (BJP) বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস,বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কির্তনীয়া, গাইঘাটার সুব্রত ঠাকুর। তিন বিধায়কের এ হেন অনুপস্থিতি বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছে পদ্ম শিবিরকে। বিধায়কদের অনুপস্থিতি নজর এড়ায়নি ঘাসফুলেরও।

শনিবারের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বিজেপির (BJP) বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মন্ডল। সম্প্রতি, তাঁর আচরণের জন্য শোকজ করেছে দল। তারপরেও দেবদাসের অনুপস্থিতি বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। দলের সাংগঠনিক বৈঠকে কেন দেখা গেল না এই তিন বিধায়ক ও জেলার সাধারণ সম্পাদক। রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই শোনা যায় এঁরা সকলেই ‘মুকুল ঘনিষ্ঠ’। কার্যত, মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে ‘বেসুর’ বাজতে শুরু করেছেন এই নেতারা। যদিও, বৈঠকে অনুপস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেননি সকলে।

বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া যদিও বলেন, “আমার দীর্ঘদিন ধরেই বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। বৈঠকের কথা আগে জানতাম না। তাই, থাকতে পারিনি।” তবে বিশ্বজিত্‍ ও সুব্রত নিজেদের অনুপস্থিতি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক দেবদাস মন্ডল ফোনে জানিয়েছেন তিনি ব্যক্তিগত কাজে দিল্লিতে আছেন । সভাপতির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে।

বিধায়কদের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে, যদিও গজেন্দ্র সিং শেখওয়াত বলেন, “অনেকের ব্যক্তিগত কাজ বা পরিকল্পনা হয়ত আগে থেকেই ছিল। তাই তাঁরা আসতে পারেননি। এতে দোষের কিছু নেই। যেকজন এসেছেন তাঁদের নিয়েই বৈঠক হবে। আমাদের বৈঠকের কথা গতকালই ঠিক হয়েছে। তাই অনেকেই অনুপস্থিত থাকতে পারেন।”

ঘটনায়, তৃণমূল জেলা কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠ বলেন, “বনগাঁতে বিজেপির যা দুরবস্থা তাতে আর কেউ ওই দলে থাকতে চাইছে না।  নরেন্দ্র মোদী অমিত  শাহ এতদিন ডেলি প্যাসেঞ্জারি করার পর খাজা গজাদের পাঠাচ্ছেন খবর নিতে। ওদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  দিল্লিতে তুফান তুলেছেন। ওদের দেখে কষ্ট হয়।” প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠকেও দেখা যায়নি এই তিন বিধায়ককে। সেদিনও আবার পদ্ম শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়। আরও পড়ুন: ‘গ্যাঁটের কড়ি খরচা করে জেতালাম, বিধায়কদের পাত্তা নেই’, ক্ষোভ তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের