Titagarh Blast: দুই প্রেমিকের রেষারেষিতেই টিটাগড় স্কুলে বোমা ছুড়েছিল বাবুল-আরিয়ানরা?
Titagarh Blast: সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে স্কুলে আরিয়ানের সঙ্গে কয়েকজন ছাত্রের বচসা হয়। কিন্তু কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
টিটাগড়: প্রেমে প্রত্যাখ্যান,দুই প্রেমিকের রেষারেষি, ভয় দেখিয়ে প্রেমিকাকে ওভারট্রাম করতেই বোমাবাজি স্কুলে? টিটাগড় কাণ্ডে (Titagarh Blast) সন্দেহ বাড়ছে তদন্তকারী অফিসারদের। টিটাগড় স্কুলে বোমাবাজির ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)। ধৃতদের মধ্যে তিন জন ওই স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র বলে জানা যাচ্ছে। তারা আবার ইতিমধ্যেই পুলিশি জেরায় নিজেদের দোষের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। তবে ঠিক কারণে এই বোমাবাজি সে বিষয়ে কাল থেকে ধোঁয়াশা বাড়ছিল। এদিকে গতকাল পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল ১ জন। আজ আটক করা হয় আরও তিন জনকে। পুলিশি জেরায় তারা জানিয়েছেন ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে স্কুলে বোমা ছুড়েছিলেন তারা। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা বলেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট অলোক রাজোরিয়া (Barrackpore Police Commissionerate Alok Rajoria)।
তবে শিক্ষক নাকি পড়ুয়াদের উপর ব্যক্তিগত আক্রোশ? এ প্রশ্নের উত্তরে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারেট জানিয়ে দেন মূলত পড়ুয়াদের উপর থাকা আক্রোশ থেকেই তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু ঠিক কী ধরনের আক্রোশ? যা নিয়ে বাড়তে থাকে জল্পনা। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে অভিযুক্তরা। শোনা যাচ্ছে এমনটাও। তবে চারজন গ্রেফতার হলেও ঘটনার মাস্টারমাইন্ড কে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত খোলসা করে কিছু বলেননি তদন্তকারীরা। চার ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন মহম্মদ আরিয়ান, সাদিক, বাবলু ও রেহান। চারজনেরই বাড়ি টিটাগড় থানা এলাকায়।
সূত্রের খবর ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭, ৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। সহজ কথায় একসঙ্গে একত্রিত হয়ে কাউকে খুনের চেষ্টা করলেই সাধারণত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এ ধরনের ধারা দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে স্কুলে আরিয়ানের সঙ্গে কয়েকজন ছাত্রের বচসা হয়। কিন্তু কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। আর সেখানেই বারবার উঠে আসছে প্রণয়ঘটিত সমস্যার কথা। উঠে আসছে প্রেমে প্রত্যাখ্যান,দুই প্রেমিকের রেষারেষির কথা। যদিও এ প্রসঙ্গে তদন্তপ্রক্রিয়া আরও এগোলে তবেই গোটা বিষয়টি পরিস্কার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত রেহানের বাড়ি থেকে আবার ১০টি তাজা হাত বোম উদ্ধার করেছে পুলিশ। কেন এত বোমা রাখা হয়েছিল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও পুলিশের দাবি অভিযুক্তদের এখনও দীর্ঘ জেরা করা বাকি রয়েছে। এখনও পর্যন্ত তারা যা বলেছেন তা আদৌও সঠিক কিনা তা যাচাই করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের এদিন ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।