TMC: রেশন দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট, রেহাই পেলেন না অন্তঃসত্ত্বাও
Deganga: দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর চাঁদপুর এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও গ্রাম সভার সদস্য এই দুই তৃণমূলেরগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
দেগঙ্গা: রণক্ষেত্র দেগঙ্গা। রেশনের চাল দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। আর তার জেরেই চলল ইট বৃষ্টি। দু’পক্ষ মিলিয়ে আহত হয়েছেন মোট বারো জন। এই সংঘর্ষে রেহাই পাননি অন্তঃসত্ত্বা মহিলাও। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থাতে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর চাঁদপুর এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও গ্রাম সভার সদস্য এই দুই তৃণমূলের গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ সাতদিন ধরে উত্তর চাঁদপুর এলাকার একটি নির্দিষ্ট দোকানে রেশনের মাল দেওয়া হচ্ছিল। এদিনও তাই হয়।
অভিযোগ, আজ বৃষ্টির জন্য গ্রাম সভার সদস্য সামচুরজ্জামানের এলাকার লোকজন দাঁড়িয়ে থাকে রেশন নেওয়ার জন্য। সেই সময় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার স্বামী আবদুল হাকিম মোল্লা দলবল নিয়ে সেই সময় রেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের উপরে ইট-লাঠি রড দিয়ে হামলা চালায়। এই সংঘর্ষের রেহাই পায়নি অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূও। তাঁকে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায়। ইটবৃষ্টি চলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দেগঙ্গা থানার পুলিশ। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে এই সংঘর্ষে দুই পক্ষের মোট বারোজন আহত হয়েছেন। তাদের প্রত্যেককে উদ্ধার করে দেগঙ্গা বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক এলাকাবাসী বলেন, ‘রেশন দেওয়া নিয়ে বিবাদ চলছিল। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চলছিল বচসা। সেই সময় হঠাৎ আক্রমণ চালায় তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠী। ঘটনায় আহত হয়েছে একজন অন্তঃসত্ত্বা’
বস্তুত, কয়েকদিন আগে তোলবাজির প্রতিবাদ করায় ব্যাপক মারধরের অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বাসন্তীতে যুব তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম হয়েছেন ৫ জন। তাঁদেরকে ক্যানিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী থানার চুনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কটরাখালি বাজার এলাকায়। গুরুতর জখম হয়েছেন রফিকূল মোল্লা, হায়দার নাইয়া, রেজাউল লস্কর, সোয়েব লস্কর, সালাউদ্দিন মোল্লা।