TMC Chaos: মিটিং চলাকালীন তৃণমূল পার্টি অফিসে হঠাৎ হামলা, ভাঙচুর দুষ্কৃতীদের, বিজেপি বলছে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব

North 24 pargana: পঞ্চায়েত প্রধানের সামনেই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের বেশ কয়েকজন বেধড়ক মারধর করল।

TMC Chaos: মিটিং চলাকালীন তৃণমূল পার্টি অফিসে হঠাৎ হামলা, ভাঙচুর দুষ্কৃতীদের, বিজেপি বলছে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব
সিসিটিভি ফুটেজের অভিযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 07, 2022 | 12:40 PM

দেগঙ্গা: তুলকালাম দেগঙ্গা। আচমকা তৃণমূল পার্টি অফিসের মধ্যে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ। পঞ্চায়েত প্রধানের সামনেই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের বেশ কয়েকজন বেধড়ক মারধর করল। হাতে লাঠি-আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নির্মম ভাবে মারধর করার অভিযোগ তৃণমূল ওই কর্মীকে। এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও, ফুটেজটির সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।

ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার হামাদামা বাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাড়োয়া বিধানসভার অন্তর্গত দেগঙ্গা হাদিপুর ঝিকরা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের হামাদামা বাজারের ঘটনা। সেখানে যে পার্টি অফিস রয়েছে সেই পার্টি অফিসে সোমবার রাত্রি সাড়ে আটটা নাগাদ পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও কয়েকজন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে একটি আলোচনা সভা করছিলেন। সেই সময় কুড়ি থেকে তিরিশজন দুষ্কৃতী হাতে লাঠি-সোঁটা আগ্নেয়াস্ত্র বন্দুক নিয়ে এসে হামলা চালায় পার্টি অফিসে। পার্টি অফিসের মধ্যে ভাঙচুর করার পাশাপাশি পঞ্চায়েত সদস্য সহ একাধিক কর্মীদের মারধর করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছে। অভিযোগের তির দেগঙ্গা দু’নম্বর ব্লক সভাপতি অরূপ বিশ্বাসের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে দেগঙ্গা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

রাত্রি থেকে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। তল্লাশি চালিয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশ দুজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। তবে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন দেগঙ্গা দু নম্বর ব্লকের সভাপতি অরূপ বিশ্বাস। বিজেপি কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে এবং এটা তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।

এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, ‘গতকাল আমরা তৃণমূল পার্টি অফিসে যাই। সেখানে মিটিং ছিল। পার্টি অফিসে আসতেই হঠাৎ কয়েকজন দুষ্কৃতী হামলা চালায়। ভাঙচুর করে। আমাদের মারধর করে। কে করেছে তখন বুঝতে পারিনি। তবে যে বা যারা করেছে তাদের এলাকারই এক নেতার সঙ্গে দেখতে পাওয়া যায়। সেই নেতা আমাদেরই দল করে।’ অন্যদিকে, যার বিরুদ্ধে আঙুল উঠেছে সেই তৃণমূল নেতা অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘আমার অনুগামী, তার অনুগামী বলে কিছু হয়না। সবাই তৃণমূল। আমি নিজেই অসুস্থ। পুলিশকে বলেছি ব্যবস্থা নিতে। দলেরই লোক আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে।’