Food poisoning: অসহ্য পেটে যন্ত্রণা, গা গুলিয়ে উঠছে, রান্না করা রুই মাছের ঝোলের দিকে তাকাতেই আতঁকে উঠছেন সকলে
Deganga: উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ আমুলিয়া শেখ পাড়া এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাস করেন শেখ রেজাউল হক।
দেগঙ্গা: বাজার থেকে বড় রুই মাছ কিনে নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন। ঝিঙে-আলু দিয়ে ভাল করে রান্না করা খাবার জমিয়ে খাওয়া যাবে। কিন্তু হল না। খাবারের মধ্যেই যে বিপদ লুকিয়ে রয়েছে বোঝেননি। ফলস্বরূপ ভর্তি হতে হল হাসপাতালে। বাড়ির খাবারের বিষক্রিয়া হয়ে একই পরিবারের শিশু-মহিলা-পুরুষ সহ মোট পাঁচ জন বমি পায়খানা, জ্বর নিয়ে দেগঙ্গা বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ভর্তি হলেন। এর মধ্যে দুই মহিলার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ আমুলিয়া শেখ পাড়া এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাস করেন শেখ রেজাউল হক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে নাগাদ রেজাউল স্থানীয় একটি বাজার থেকে রুই মাছ, ঝিঙে কিনে নিয়ে যান। রাতে সেই রুই ঝিঙে আলু ও মাছ দিয়ে তরকারি রান্না হয়। পরিবারের সকল সদস্যরা সেই তরকারি দিয়ে রাতের খাবার খান।
এরপর শুক্রবার গভীর রাত থেকে সকলের পেটে ব্যথা-বমি-পায়খানা শুরু হয়। স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করালেও জ্বর পেটে-ব্যাথা বমি পায়খানা না কমায় শনিবার সন্ধ্যায় দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই পরিবারের সদস্যরা ভর্তি হন।
পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দাবি খাবারের মধ্যে কোনও বিষাক্ত জিনিস পড়ে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে দু’জন মহিলার অবস্থা সংকটজনক বলে জানা গিয়েছে। দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার সুপ্রতিম রায় জানান, একই পরিবারের ৫ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হয়েছিল। তবে এই মুহূর্তে সকলের অবস্থা স্থিতিশীল। খাবারের বিষক্রিয়া থেকে এই ধরনের ঘটনা।
ওই বাড়ির এক সদস্য জানান, ‘আমি বৃহস্পতিবার জ্যান্ত রুই মাছ কিনে আনি। রাত্রিবেলা সেই রান্না করা খাবার খাই। খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে শরীর খারাপ হয়ে পড়ে। শুক্রবার সকাল অবধি ডাক্তার দেখিয়েছি। কোনও কাজ হয়নি। পরে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে সকলকে। আমাদের বাড়ির সকলে ভর্তি হাসপাতালে। প্রত্যেকেরই পেট ব্যথা বমি।’