Rail Basti: রেলবস্তির উচ্ছেদ নিয়ে তুলকালাম কাঁচরাপাড়ায়, রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ

Kanchrapara: স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন দাবি করেন, রেলের তরফে তাঁদের কাছে কোনও উচ্ছেদ নোটিস আসেনি। হঠাৎই সাত সকালে রেলের লোকজন এসে বলছেন, ঘর খালি করে ফেলতে হবে।

Rail Basti: রেলবস্তির উচ্ছেদ নিয়ে তুলকালাম কাঁচরাপাড়ায়, রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ
রেল কলোনিতে উত্তেজনা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 18, 2022 | 4:18 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: কাঁচরাপাড়ার রেল কলোনিতে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল সোমবার। বস্তি উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনা ছড়ায়। কাঁচরাপাড়ার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রেল বস্তি। সেখানে প্রায় ৭০-৮০টা ঘর রয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশই বেআইনি বলে অভিযোগ। সেইসবই উচ্ছেদ করতে এদিন হাজির হয় রেলের লোকজন। সঙ্গে ছিল রেল পুলিশও। তারা বস্তি তুলতে এলে দু’পক্ষের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। কথা কাটাকাটি, হইচইয়ে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন শাসকদলের নেতারা। বস্তিবাসীদের দাবি, তাঁদের পুনর্বাসন না দিয়ে কোনওভাবেই এই উচ্ছেদ করা যাবে না। অন্যদিকে রেল পুলিশের দাবি, এই পুনর্বাসনের দায় তাদের নয়। রাজ্য সরকার দেখবে সেটা। একই সঙ্গে তাদের অভিযোগ, এই জবরদখল উচ্ছেদে রাজ্য পুলিশ তাদের কোনও সহযোগিতা করেনি।

স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন দাবি করেন, রেলের তরফে তাঁদের কাছে কোনও উচ্ছেদ নোটিস আসেনি। হঠাৎই সাত সকালে রেলের লোকজন এসে বলছেন, ঘর খালি করে ফেলতে হবে। রেল কলোনির বাসিন্দাদের প্রশ্ন, এভাবে কাউকে কীভাবে রাস্তায় বসিয়ে দিতে পারে রেল? এদিন রেল পুলিশ এলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ওই বস্তির বাসিন্দারা। যদিও পরে শাসকদলের নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়।

স্থানীয় তৃণমূল নেতা রামশঙ্কর গিরি বলেন, “আমাদের একটাই দাবি, উচ্ছেদ আপনি করুন, কিন্তু পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে। এই মানুষগুলোকে মাথা গোঁজার জায়গা না দিয়ে কোনও উচ্ছেদ করা যাবে না। তারপর ওরা পিছু হঠে। বলছে, রেল দু’বার নোটিস দিয়েছে। কী নোটিস দিয়েছে, কেউ জানে না। রাতের অন্ধকারে এসে নোটিস দিয়ে গেছে। এখন বলছে, ৬৫টা ঘর ওরা ভাঙবে। এখানকার মানুষ তা মানবেনই বা কেন? যতক্ষণ পুনর্বাসন না হবে, বস্তি উচ্ছেদও হবে না।”

যদিও রেল পুলিশের এক আধিকারিকের বক্তব্য, “রেলওয়ে কলোনিতে কিছু অবৈধ ঘর তৈরি করা হয়েছে। আমরা সেগুলি উচ্ছেদ করতে এসেছিলাম। ইতিমধ্যে রেল দু’টি নোটিসও দিয়েছে। আজ ওদের জায়গা খালি করার কথা ছিল। কিন্তু দেখা গেল তা খালি হয়নি। উল্টে তাঁরা এখান থেকে উঠতে অস্বীকার করেন। কাজে বাধা দেন। আমরা আজ চলে যাচ্ছি। ফের নোটিস দেব। স্থানীয় পুলিশ আমাদের কোনও সহযোগিতা করল না। রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে কোনও সহযোগিতাই পেলাম না। আর পুনর্বাসন, সেসব রাজ্য সরকারের বিষয়। আমাদের বিষয় নয়।”