বসিরহাট: গলব্লাডারে অস্ত্রোপচার করে আড়াই হাজারের উপর পাথর বের করলেন চিকিৎসকরা। সব পাথর মিলিয়ে ১৭০ গ্রাম ওজন হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হাড়োয়া ব্লকের এক বেসরকারি হাসপাতালে এক মহিলার এই অস্ত্রোপচার হয়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে অস্ত্রোপচার করানো হয়। তাঁর স্বামী জানান, স্ত্রী ভাল আছেন। বসিরহাট-২ ব্লকের কচুয়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা শিখা সাঁপুই (৬৩)। তাঁর স্বামী তারাপদ সাঁপুই বাসের কন্ডাক্টর ছিলেন। এখন অবসরপ্রাপ্ত। তিনিই জানান, গত এক মাস ধরে স্ত্রীর পেটে যন্ত্রণা হচ্ছিল। এরপরই পরীক্ষানিরীক্ষা করে জানা যায় গলব্লাডারে পাথর হয়েছে। অস্ত্রোপচার ছাড়া কোনও গতি নেই। এদিকে তারাপদবাবুর সামর্থ নেই খরচ করে অপারেশন করাবেন।
এরপরই খোঁজ পান হাড়োয়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালের। সেখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেওয়া হয়। যোগাযোগ করে ভর্তি করানো হয় শিখা সাঁপুইকে। দু’দিন আগেই অস্ত্রোপচার হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে এই ধরনের জটিল অস্ত্রোপচার বসিরহাটে নজির সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সাধারণত গলব্লাডারের পাথর জমলে ৩০ থেকে ৪০টি পাথর উদ্ধার হয় বলে জানান চিকিৎসকরা। কিন্তু ২ হাজার ৫৪৫টি পাথর উদ্ধার একেবারে নজিরবিহীন।
তারাপদ সাঁপুই বলেন, “স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে স্ত্রীর গলব্লাডার অপারেশন করাই। অস্ত্রোপচারের পর ডাক্তাররা জানান আড়াই হাজারের বেশি গল স্টোন উদ্ধার হয়েছে ওর পেট থেকে। আমাদের যখন পাথরগুলো দেখানো হয় আমাদের তো চোখ কপালে ওঠার অবস্থা। সাদা কাগজে কালচে সবুজ রঙের পাথরগুলো দেখে কেমন একটা যেন লাগছিল। অত পাথর একসঙ্গে।”
চিকিৎসক এমএন আলম বলেন, “রোগী পুরোপুরি সুস্থ। আগেও আমরা এই ধরনের অপারেশন করেছি। তবে এত গলস্টোন বের করার ঘটনা এর আগে ঘটেনি। আজ অপারেশনটা খুবই জটিল কিছু। ১৭০ গ্রাম ওজন হয়েছে মোট পাথরের। আমরা গুনে দেখেছি ২ হাজার ৫৪৫টা পাথর গোনা হয়েছে। রোগী ভাল আছেন।”