TMC Raju Sahani: ফের টাকার পাহাড়, এবার হালিশহরের চেয়ারম্যান রাজু সাহানির ফ্ল্যাটে ৮০ লক্ষ উদ্ধার

Halishahar: হালিশহরের দু'বারের চেয়্যারম্যান রাজু। গত পুরভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তিনি। তাঁর বাবা লক্ষ্মণ সাহানিও হালিশহরের দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর।

TMC Raju Sahani: ফের টাকার পাহাড়, এবার হালিশহরের চেয়ারম্যান রাজু সাহানির ফ্ল্যাটে ৮০ লক্ষ উদ্ধার
রাজু সাহানি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2022 | 12:00 AM

উত্তর ২৪ পরগনা: আরও এক শুক্রবার। আবারও মুঠো মুঠো টাকা উদ্ধার। এবার উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহর। তৃণমূল পরিচালিত হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানিকে শুক্রবারই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে তাঁকে নিউটাউন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, রাজু গ্রেফতার হতেই  তাঁর নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে থেকে উদ্ধার হয় নগদ ৮০ লক্ষ টাকা। তাঁর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে এই টাকা উদ্ধার হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এদিকে এই টাকা উদ্ধারের পরই নিউটাউন থেকে সিবিআই হালিশহরে হানা দেয়। রাজুকে সঙ্গে নিয়েই এদিন হালিশহরে আসেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সিবিআইয়ের আধিকারিকরা রাজু সাহানিকে নিয়ে হালিশহরে আসেন। সেখানে রাজুর ‘হাই নেস্ট গেস্ট হাউজ’-এ তল্লাশি চালানো হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তদন্তকারীরা। রাজু সাহানিকে সেখানেও দফায় দফায় জেরা করা হয় বলে সূত্রের খবর। সেখান থেকে ফের কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয় রাজুকে। সিবিআই সূত্রে খবর, রাজুর কাছ থেকে থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্কের একটি অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। এমনও অভিযোগ, একাধিক আগ্নেয়াস্ত্রও পাওয়া গিয়েছে রাজুর কাছ থেকে।

মূলত একটি চিটফান্ড মামলায় এদিন রাজু সাহানিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের হাতে বেশ কিছু নাম উঠে এসেছে। সেই নামের ভিত্তিতেও এবার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলেই খবর। সিবিআইয়ের তিনটে গাড়ি এদিন সন্ধ্যার মুখে হালিশহরে এসে পৌঁছয়।

রাজুর বাবা লক্ষ্মণ সাহানি দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর। এক সময় সিপিএম নেতা হিসাবে লক্ষ্মণ সাহানিকে এক ডাকে সকলে চিনতেন। তবে ২০১০ সালের পর থেকে তৃণমূলে যোগ দেন। বাবার হাত ধরে ছেলেরও রাজনীতির আঙিনায় পা। এরপর ভোটে জিতে কাউন্সিলর হওয়া এবং এখন হালিশহরের চেয়ারম্যান তিনি। সূত্রের খবর, নিউটাউনের দু’ জায়গায় সিবিআই হানা দেয় এদিন। একটি সিটি সেন্টার ২-এর পাশে তাঁর বাড়িতে, অন্যটি একটি আবাসনে। সূত্রের খবর, টানা গোনার মেশিন এনে এবারও টাকা গোনা চলছে। অর্থাৎ নগদ উদ্ধারের পরিমাণ যে বাড়তে পারে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

এর আগে গত ২২ জুলাই হরিদেবপুরে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। সেদিনও ছিল শুক্রবার। অর্পিতার ডায়মন্ড সিটি সাউথের সেই বিলাসবহুল আবাসন থেকে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার হয় সেদিন। সেদিন দেখা গিয়েছিল লাফিয়ে বাড়ছে টাকার পরিমাণ। এদিনও তেমন কিছু চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে কি না, তা নিয়েও জোর চর্চা। ২.৭৫ কোটি টাকার সম্পত্তির নথিও উদ্ধার হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।