Deganga: বউ বলছেন, সরকারি গাছ, বরের দাবি, ‘আমার নিজের গাছ’… সরকারি গাছ কাটা নিয়ে তুমুল হইচই

TMC: যদিও প্রধানের দাবি, তিনি এরকম কোনও নির্দেশই দেননি। যিনি কাটছেন, এই দায়িত্ব তাঁরই।

Deganga: বউ বলছেন, সরকারি গাছ, বরের দাবি, 'আমার নিজের গাছ'... সরকারি গাছ কাটা নিয়ে তুমুল হইচই
এই গাছ কাটা ঘিরে বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2022 | 11:44 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তার ধারে সরকারি গাছ চুরির অভিযোগ উঠল। অভিযোগে নাম জড়িয়েছে, ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজারের। এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েত প্রধানের নির্দেশেই এই গাছ কাটা হয়েছে। যদিও প্রধানের দাবি, তিনি এরকম কোনও নির্দেশই দেননি। যিনি কাটছেন, এই দায়িত্ব তাঁরই। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। দেগঙ্গার নূরনগর গ্রামপঞ্চায়েতের রামনাথপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। এদিকে গাছ কাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দেগঙ্গা থানার পুলিশ গেলে যাঁরা গাছ কাটছিলেন, তাঁরা পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। পুলিশ গাছ কাটার করাত, দাঁ, কুড়ুল, কোদাল ও দড়ি উদ্ধার করেছে।

নূরনগর গ্রামপঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার কুতুবুদ্দিন মল্লিক। তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় রামনাথপুর পোস্ট অফিসের সামনে পাকা রাস্তার ধারে একটি বিশাল আম গাছ ছিল। শনিবার সকালে সেই গাছটিই কাটা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দেগঙ্গা থানার পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে বারাসত সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তরুণকান্তি ঘোষ বলেন, “১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার সরকারি গাছ কাটছে প্রধানের নির্দেশে। আমরা শুনেছি, তিনি ওখানকার মানুষকে বলছেন প্রধানের নির্দেশেই গাছ কাটছেন। অন্যদিকে সুপারভাইজারের স্ত্রীও সরাসরি বলছেন এটা সরকারি গাছ। আসলে এখানে গাছ চুরি করা নতুন নয়। এর আগেও ১০০ গাছ কেটে বিনা টেন্ডারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তার কোনও কাগজপত্র নেই।”

যদিও নূরনগর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান উমা দাস বিজেপির তোলা অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, “আমি কোনও নির্দেশ দিইনি। যে কাটছে, সে বলতে পারবে। আমরা আইনের পথে হেঁটে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব।” নূরনগর গ্রামপঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার কুতুবউদ্দিন মল্লিক সংবাদমাধ্যমকে দেখে কিছুটা হকচকিয়েই যান। তিনি বলেন, “ড্রেন হবে, তাই গাছ কাটা হচ্ছিল। কেউই গাছ কাটতে বলেনি। আমাদের জায়গা আমরা গাছ কাটছি। সরকারি জায়গা হবে কেন?” এদিকে নাম বলতে নারাজ কুতুবুদ্দিনের স্ত্রীর বক্তব্য, “রাস্তায় গাছের ডাল পড়লে ঝামেলা হয়। আম পড়লে কে নেবে তা নিয়েও গোলমাল হয়। ড্রেন হবে তাই কেটে দিয়েছে। সরকারি গাছ।”

আরও পড়ুন: 19,867.8 MHz স্পেকট্রাম অধিগ্রহণ করে ভারতীয়দের জন্য 5G বিপ্লব ঘটাতে চলেছে এয়ারটেল