Woman Harassment Case: ‘তোর চাকরির খবর আছে’, এই বলেই বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ! ভয়ঙ্কর অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

Woman Harassment Case: যুবতী বাড়িতে গিয়ে দেখেন, মদ্যপান করছেন ওই ব্যক্তি। শুধু ধর্ষণই নয়, তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ।

Woman Harassment Case: 'তোর চাকরির খবর আছে', এই বলেই বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ! ভয়ঙ্কর অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 05, 2022 | 7:11 AM

পানিহাটি : দিনে দুপুরে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। চাকরি দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ডেকে এলাকার বাসিন্দা এক যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার দুপুরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে। ইতিমধ্যে খড়দহ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন যুবতী। যাঁর দিকে অভিযোগের তির, তিনি তৃণমূল নেতা বলেই পরিচিত এলাকায়। সেই নেতার দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পানিহাটি জয়প্রকাশ কলোনী এলাকার ঘটনা। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ওই এলাকার একটি ক্লাবের সেক্রেটারি বলেও জানা গিয়েছে। যুবতীর অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ঘটনার সময় তাঁকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগে জানিয়েছেন ওই যুবতী। বর্তমানে খড়দহ বলরাম সেবা মন্দির হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। ঘটনার পর এক মানবাধিকার কর্মীর সাহায্য নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

মানবাধিকার কর্মী রীণা দাস গঙ্গোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টে ৪৩ মিনিটে অভিযুক্ত ফোন করেন যুবতীকে। তাঁকে ফোনে বলা হয়, ‘তোর একটা চাকরির খবর আছে।’ এই বলে বাড়িতে ডেকেছিলেন তিনি। যুবতীর দাবি, ওই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে তিনি দেখেন, অভিযুক্ত মদ্যপান করছেন। এরপর সেই ঘর বন্ধ করে যুবতীকে হেনস্থার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে চিৎকার করতে শুরু করে যুবতী। তখন তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘর থেকে যুবতীকে বের করে দিলে এক প্রতিবেশীর সাহায্য নিয়ে মানবাধিকার কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন যুবতী। এরপরই রীণা দাস গঙ্গোপাধ্য়ায় নিজে আসেন ও থানায় নিয়ে যান যুবতীকে।

অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলতে চাননি। তবে, ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন এই ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যে। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার খোঁজ করছে খড়দহ থানার পুলিশ। তৃণমূলের কাউন্সিলর জয়ন্ত দাসকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি দাবি করেন, ওই অভিযোগ সত্যি নয়। ফাঁসানো হচ্ছে তৃণমূল নেতাকে। অন্যদিকে, বিজেপি নেতা জয় সাহা বলেন, ‘তৃণমূল নেতারা টাকার অহঙ্কারে মানুষের মাথার ওপরে উঠে নাচছে। নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার কোনও অধিকার নেই।’