Parnasree Case: ঘরে ছিলেন স্ত্রী-শাশুড়ি, অতর্কিতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন যুবক… অদ্ভুত শব্দেই পড়শিরা ধরলেন সব
Parnasree Case: মাঝেমধ্যে তাঁদের মধ্যে দেখা হত। তখনও অশান্তি হত বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার সময় হঠাৎ প্রবীর গায়েন উপস্থিত হয়।
কলকাতা: পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রী ও শাশুড়ির ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বেহালার পর্ণশ্রীর সেনপল্লি এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, সেনপল্লির বাসিন্দা মধুমিতা গায়েনের বিয়ে হয়েছিল ১০ থেকে ১২ বছর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তির বাসিন্দা প্রবীর গায়েনের সঙ্গে। সাত বছর আগে তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। মধুমিতা নিজের মায়ের কাছে এসে থাকতে শুরু করেন।
মাঝেমধ্যে তাঁদের মধ্যে দেখা হত। তখনও অশান্তি হত বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার সময় হঠাৎ প্রবীর গায়েন উপস্থিত হয়। অভিযোগ, তাঁর হাতে ভোজালি ছিল। তিনি পেট্রোল নিয়ে ঘরে ঢুকেছিলেন বলে অভিযোগ। মধুমিতা প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারেননি।
মধুমিতা ও তাঁর মা ঘরে ছিলেন। অতর্কিতে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েন প্রবীর। মধুমিতারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। অভিযোগ, মধুমিতার ওপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও হন বলে অভিযোগ। তাঁর সারে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরানোর চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ।
ধারাল অস্ত্রের আঘাতে মধুমিতার শরীরের একাধিক জায়গায় গভীর ক্ষত তৈরি হয়। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর মা। তাঁরও হাতে গভীর ক্ষত তৈরি হয়। ওই পরিস্থিতিতেই বৃদ্ধা তাঁর ছেলেদেরকে ফোন করে দেন। স্থানীয় বাসিন্দারও চিৎকার শুনে ছুটে আসেন।
অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁরা। জনরোষের শিকার হন অভিযুক্ত। তাঁকে বেঁধে রেখে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহতদের বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও অভিযুক্তের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।