Durgapur Case: দুর্গাপুরকাণ্ডে নির্যাতিতার সহপাঠীর ঘরে মিলল ১১টি অব্যবহৃত কন্ডোম, জঙ্গল থেকে আরও একটি

Durgapur: প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নির্যাতিতার সহপাঠী ১২টি কন্ডোমের একটি প্যাকেট কিনেছিল। যার মধ্যে অব্যবহৃত ১১টি তার হস্টেলের ঘর থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে৷ আর একটি জঙ্গলে পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে এর কী যোগ রয়েছে তা এবার খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Durgapur Case: দুর্গাপুরকাণ্ডে নির্যাতিতার সহপাঠীর ঘরে মিলল ১১টি অব্যবহৃত কন্ডোম, জঙ্গল থেকে আরও একটি
কন্ডোমের ছবি প্রতীকীImage Credit source: TV 9 Bangla & Social Media

| Edited By: জয়দীপ দাস

Oct 17, 2025 | 12:31 AM

দুর্গাপুর: দুর্গাপুরকাণ্ডে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে নির্যাতিতার সহপাঠীকে। এবার সেই সহপাঠীর ঘর থেকে মিলল ১১টি অব্যহৃত কন্ডোম। তা নিয়েই এবার শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন চর্চা। সূত্রের খবর, পুলিশ জঙ্গল থেকেও অর্থাৎ যে জায়গায় নির্যাতন চালান হয়েছিল বলে অভিযোগ সেখান থেকেও একটি অব্যবহৃত কন্ডোম উদ্ধার করেছে। তাতেই আরও দানা বাঁধছে রহস্য। 

এদিকে সহপাঠীর টানা জেরাও চলছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তার বক্তব্যেও ঘটনা প্রসঙ্গে একাধিক অসঙ্গতিও ধরা পড়েছে। এই অসঙ্গতিই তাঁর গ্রেফতারির মূলে। আগে যাদের ধরা হয়েছে তাঁদের সঙ্গে সহপাঠীর বক্তব্যে অমিল অনেক। তবে পুলিশি তদন্ত চলছে পুরোদমে। যে জঙ্গলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ সেখানে আগেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সহপাঠীকে। ঘটনার পুনর্নিমাণও হয়। হাসপাতালের বেরনোর পথ থেকে যে রাস্তা ধরে নির্যাতিতা ও তাঁর সহপাঠী গিয়েছিলেন, সেই রাস্তাও ভাল করে খতিয়ে দেখা হয়। ধৃতদের পরনে থাকা পোশাকও ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে এসেছে। তবে শুরু থেকেই সহপাঠীর ভূমিকা পুলিশের সন্দেহের ঊর্ধ্বে ছিল না তা তাঁকে গ্রেফতারির পরেই একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখন উদ্ধার হওয়া কন্ডোমের সূত্র ধরেই নতুন ক্লু পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। 

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নির্যাতিতার সহপাঠী ১২টি কন্ডোমের একটি প্যাকেট কিনেছিলেন। যার মধ্যে অব্যবহৃত ১১টি তার হস্টেলের ঘর থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আর একটি জঙ্গল থেকে পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে এর কী যোগ রয়েছে তা এবার খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত সহপাঠীর কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত যা যা পাওয়া গিয়েছে সেই তালিকায় এই কন্ডোমের কথাও থাকছে। কারণ এ থেকে একপ্রকার স্পষ্ট যে নির্যাতিতার সহপাঠীই তাঁকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছিলেন। যদিও পুলিশ বলছে তারা ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে এলেই আরও অনেক কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।