Anubrata Mondal: আরও ১৪ দিন জেলেই কাটাতে হবে অনুব্রতকে!
Anubrata Mondal: বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেননি। তাই জামিনের বিরোধীতা করে সিবিআই আইনজীবিদের পক্ষে থেকে কোনও সওয়াল জবাব হয়নি বিচারকের কাছে।
আসানসোল : একদিকে সিবিআই (CBI) অপরদিকে ইডি (ED) ! দুইয়ের সাঁড়াশি চাপে জেরবার বীরভূম (Birbhum) জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আবারও ১৪ দিনের জেল হেপাজত হল তাঁর। শুক্রবার বেলা ১১ টা ১৫ নাগাদ এজলাসে আনা হয় তাঁকে। তবে এ দিন প্রতিবারের মতো অনুব্রত মণ্ডলের জন্য কলকাতার কোনও আইনজীবীরা আসেননি। তাঁর হয়ে ছিলেন আসানসোলের আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেননি। তাই জামিনের বিরোধীতা করে সিবিআই আইনজীবিদের পক্ষে থেকে কোনও সওয়াল জবাব হয়নি বিচারকের কাছে। অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবির পক্ষ থেকে শুধুমাত্র চার্জশিটের কপি চাওয়া হয় সিবিআইয়ের কাছ থেকে। বিচারক জানান সাপ্লিমেন্টারি সহ ৫ টি চার্জশিট জমা পড়েছে। তদন্ত চলছে। চার্জশিট ইনকমপ্লিট।
অনুব্রতর আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রথম যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল সেটার কপি যেন দেওয়া হয়। পাশাপাশি ভোলেব্যোম রাইসমিলের অ্যাকাউন্ট ডিফ্রিজের আবেদন করা হয়েছিল তার শুনানির আবেদন করেন। অনুব্রতর বাজেয়াপ্ত হওয়া মোবাইল ফোনটিও ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হয়। এরপর বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এই সমস্ত কিছু নিয়ে আগামী ৯ ডিসেম্বর পরবর্তী মামলার শুনানির দিন ধার্য করেন।অর্থাৎ ১৪ দিনের জেল হেপাজত হয় অনুব্রতর।
এ দিন, বিচারক গত ১৪ দিনে সিবিআই তদন্তের আপডেট কপি চান আইওর কাছে। তিনি গত ১৪ দিনের তদন্তের আপডেট কপি বা নথি জমা দেন। এরপর বেলা ১২ টা ১৫ নাগাদ অনুব্রত মণ্ডল আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে ফিরে যান। অনুব্রতর আইনজীবী এদিন জানান যে, আইনি পরামর্শ মেনেই আজ কোনও জামিনের আবেদন করা হয়নি।
আইনজ্ঞদের মতে, অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে চায় ইডি (ED)। এনিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের আগামী ১ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছে। সেই শুনানির কথা মাথায় রেখেই এদিন সিবিআই আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়নি।