Anubrata Mondal: আদালতে বসেই পার্থর খবর নিলেন অনুব্রত, গুটখা ছাড়ার পরামর্শ দিলেন CBI অফিসার

Anubrata Mondal: সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন আদালতে যাওয়ার সময় অফিসারদের সঙ্গে নেমে পুরী, তরকারিও খেতে দেখা গিয়েছে অনুব্রতকে। বর্তমানে আসানসোল জেলে রয়েছেন তিনি।

Anubrata Mondal: আদালতে বসেই পার্থর খবর নিলেন অনুব্রত, গুটখা ছাড়ার পরামর্শ দিলেন CBI অফিসার
অনুব্রত মণ্ডল (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2022 | 4:30 PM

আসানসোল: গত কয়েক মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের দুই হেভিওয়েট নেতা। একজন রয়েছেন কলকাতায় সিবিআই হেফাজতে, অপরজন আসানসোলের গারদে। দূরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটারের বেশি হলেও, আসানসোলে বসেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের খবর পেলেন অনুব্রত মণ্ডল, তাও আবার খোদ সিবিআই অফিসারের কাছ থেকেই।

বুধবার সকাল থেকে দুই নেতাকে ঘিরেই টানটান উত্তেজনা। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই হেফাজত শেষে আদালতে পেশ করা হয় এ দিন। আর আসানসোল সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। অনুব্রতর মামলায় এ দিন প্রায় ঘণ্টা খানেকের সওয়াল-জবাব চলে। কেন জামিন দেওয়া উচিত, কেন উচিত নয়? যুক্তি, পাল্টা যুক্তি পেশ করে দু পক্ষই।

শুনানি শেষ হলে একে একে এজলাস ছাড়েন সবাই। একপাশে তখনও বসেছিলেন বীরভূমের একসময়ের দাপুটে নেতা কেষ্ট মণ্ডল। তখনই তাঁর দিকে হাসতে হাসতে এগিয়ে আসেন সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার। নিজাম প্যালেসে বেশ কয়েকদিন এই অফিসারদের হেফাজতেই ছিলেন তৃণমূল নেতা। এ দিন তাঁকে অফিসার বলেন, ‘পার্থ বাবু তো এখন আমাদের ওখানে।’ জবাবে পার্থর স্বাস্থ্যের খবর জানতে চান অনুব্রত। আদালত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে নিজামেই ছিলেন পার্থ। অফিসার অনুব্রতকে জানান, পার্থর চা খাওয়ার অভ্যাসের কথা। জানান, রাত ৯ টার সময়েও নাকি চা খেতে চান প্রাক্তন মন্ত্রী।

এ দিন হালকা মেজাজেই মিনিট কয়েক কথা হয় অফিসার ও অনুব্রতর। অফিসার তাঁকে বলেন, ‘আপনাকে তো গুটখা খেতে নিষেধ করেছিলাম। চাইলে সুপারি খান, কিন্তু গুটখা খাওয়া ছেড়ে দিন, ওতে নেশার জিনিস থাকে।’ অনুব্রত মাথা নেড়ে জানান, তিনি প্রতিদিন গুটখা খান না।

তবে মুখে গুটখা, পরণে পাঞ্জাবী, পায়ে পালিশ করা জুতো দেখে বোঝার উপায় নেই গারদে রয়েছেন অনুব্রত। বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডলের বাদশাহী মেজাজে ঘাটতি পড়েনি এতটুকু। বারবার তাঁর আইনজীবী অসুস্থতার কথা বলে সওয়াল করলেও, গারদবাসের ছাপ খুব একটা বোঝা যায়নি তাঁর চেহারায়। এ দিন এজলাসে বসে শুরুর দিকে একটু ঝিমিয়ে ছিলেন তিনি। আর সিবিআই-র আইনজীবী যখন বলে ওঠেন, ‘উনি তো প্রভাবশালী’। মাথা তুলে মুচকি হাসেন কেষ্ট।