Anubrata Mondal: ‘বুকের বেদনা, একটা কথা কতবার বলবো’, হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বললেন ‘বিরক্ত’ কেষ্ট
Anubrata Mondal: জেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পরই দেরি না করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
আসানসোল: আসানসোল সংশোধনাগারে অসুস্থ বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার সকালেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে। ৪৫ মিনিট হাসপাতালে ছিলেন অনুব্রত। তিন জন চিকিৎসক তাঁকে দেখেন। তারপর তাঁকে হাসপাতাল থেকে বার করে আনা হয় তাঁকে। হেঁটেই ফের পুলিশের গাড়িতে ওঠেন অনুব্রত। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে অনুব্রত বলেন, “বুকের বেদনা, একটা কথা কতবার বলবো।” জানা যাচ্ছে, শনিবার রাতে অনুব্রত মণ্ডলের বুকে ব্যথা হয়। জেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পরই দেরি না করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বারবার তদন্তকারী সংস্থার জেরার পরই জেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুব্রত। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরার পরই হালকা বুকে ব্যথা অনুভব করছিলেন অনুব্রত। জেলেই তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রাথমিক কিছু বন্দোবস্ত প্রথম থেকেই রাখা ছিল। ছিল অক্সিজেন সাপোর্টও। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ মনে করে, এই সাপোর্টে এখনই অনুব্রতর চিকিৎসা সম্ভব নয়। তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জেল কর্তৃপক্ষ।
বেলা ১১টার কিছু পর তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই হাসপাতালে ঢোকেন অনুব্রত। তাঁকে দৃশ্যত বিধ্বস্ত লাগছিল। হাসপাতালের তরফে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করা হয়। ১০০ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে, তিনি জেলযাপন করছেন। এ কয়েকদিনে তাঁর অন্ততপক্ষে ১০ কেজি ওজন কমেছে।
গরু পাচার মামলায় বারবার জেলে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সঙ্গে নবতম সংযোজন লটারি কেলেঙ্কারি। শনিবারও তাঁকে জেলে নিয়ে জেরা করেন আধিকারিকরা। দীর্ঘক্ষণ জেরা করেন। বিকালে তাঁরা বেরিয়ে গিয়েছিলেন। শনিবারই দৃশ্যত অসুস্থ ছিলেন তিনি। সেসময় জেল কর্তৃপক্ষকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, অনুব্রত কি অসুস্থ? জেলের তরফে বলা হয়েছিল, শীত পড়ছে, তাই বার্ধক্যের কারণে কিছুটা অসুস্থ হতে পারেন অনুব্রত, এমনিতে শারীরিক কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু রাতে হলকা বুকে ব্যথা অনুভব করেন অনুব্রত।
এ নিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “দিল্লি যাওয়ার ভয়ে নয় তো… অতীতে তো অনেক চালাকি হয়েছে, চিকিৎসকদের দিয়ে ভুয়ো রিপোর্ট বানানো হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথা মনে পড়বে অনেকের। ভুবনেশ্বর ঘুরে এসে শ্রীঘরে প্রবেশ করেছেন। বুকে ব্যথা সত্যি হয়, তার তো চিকিৎসা হবে। কিন্তু যদি কোনও পুরনো ছক হয়, তা কাজ করবে না। দিল্লি যেতেই হবে, মুখোমুখি বসতেই হবে। “