Anubrata Mondal: আদালতে বসেও রাজনীতি ভুলছেন না কেষ্ট, এজলাস থেকেই ফিসফিসিয়ে পঞ্চায়েতের ‘দাওয়াই’

Anubrata Mondal: রাজনীতি থেকে কি কেষ্ট মণ্ডলকে দূরে রাখা যায়? আদালতে বসেও রাজনীতি ভুলছেন না বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।

Anubrata Mondal: আদালতে বসেও রাজনীতি ভুলছেন না কেষ্ট, এজলাস থেকেই ফিসফিসিয়ে পঞ্চায়েতের 'দাওয়াই'
অনুব্রত মণ্ডল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 09, 2022 | 4:17 PM

আসানসোল: শুক্রবার ফের আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। বিচারক ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন তাঁকে। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটও (Panchayet Election 2023) এগিয়ে আসছে। আর বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা, এখনও জেলবন্দি। কবে তিনি জামিন পাবেন, তার কোনও আভাস এখনও পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু তাই বলে কি রাজনীতি থেকে কেষ্ট মণ্ডলকে দূরে রাখা যায়? আদালতে বসেও রাজনীতি ভুলছেন না বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।

শুক্রবার বিচারক এজলাস থেকে উঠে যাওয়ার পরই সেখানে ঢুকে পড়েন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। খানিক সতর্কতার ভঙ্গিতেও অনুগামীদের সঙ্গে ফিসফিস করে কথা বলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আদালত চত্বরে কেষ্টর রাজনীতি-কথা অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও একবার আদালত থেকে বেরনোর সময় দলীয় কর্মীদের পঞ্চায়েতে ভাল ভাবে কাজ করার নিদান দিয়েছিলেন।

এদিন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলকে এজলাসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় তাঁর পিছন পিছন বীরভূমের বেশ কিছু তৃণমূল নেতা-কর্মীরা এজলাসে ঢুকে পড়েছিলেন। তখন এজলাসে অন্য একটি মামলা চলছিল। বিচারক খানিক ধমকের সুরেই সতর্ক করে সেই সময় বলেন, ‘এরা কারা?’… ওই তৃণমূল নেতা কর্মীদের এজলাস থেকে বের করে দেওয়ার জন্যও বলেছিলেন তিনি। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে অনুব্রত মণ্ডলের এদিনের শুনানি শেষ হওয়ার পর বিচারক যখন এজলাস থেকে উঠে যান, তখন আবার এজলাসে ঢুকে পড়েন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। তবে কেষ্টবাবু এদিন বেশ সাবধানী। ফিসফিসিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা বললেন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে।

একটি লেটার প্যাডে সই করতে দেখা যায় তাঁকে। প্রসঙ্গত, এখনও তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির পদে রয়েছেন তিনি। আর এদিকে পঞ্চায়েত ভোটও এগিয়ে আসছে। এমন অবস্থায় আগামী দিনে পঞ্চায়েতের আগে কোনও দলীয় বৈঠক সংক্রান্ত বিষয়ের কাগজে তিনি সই করে থাকতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। এক দলীয় কর্মী শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গও তাঁকে বললেন। শুভেন্দুর যে জেলা সফর চলছে, সেই কথাও জানানো হয় অনুব্রতকে। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল শুধু ঘাড় নেড়েই জবাব দিলেন। এতটাই নিয়ে আজ সতর্ক ছিলেন যে তিনি অবিরাম চোখ রাখছিলেন, সংবাদ মাধ্যম বা অন্য কোনও ব্যক্তি তাঁদের কথা শুনতে পাচ্ছেন কি না।